যশোরের বাঘারপাড়ায় পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামী লাল্টু মণ্ডলকে (২৫) শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রী সুরাইয়া খাতুনের (১৯) বিরুদ্ধে। রবিবার রাতে উপজেলার দক্ষিণ শ্রীরামপুর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। থানা পুলিশ সুরাইয়া খাতুনকে আটক করেছে। এরপর সোমবার আদালতে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বাঘারপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফিরোজ উদ্দীন এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
নিহত লাল্টু মণ্ডল বাঘারপাড়া উপজেলার দক্ষিণ শ্রীরামপুর গ্রামের ফসিয়ার মণ্ডলের ছেলে। তিনি যশোর সেনানিবাসে ব্যাটম্যান পদে কর্মরত ছিলেন। আটক গৃহবধূ সুরাইয়া খাতুন যশোর সদর উপজেলার কেফায়েতনগর গ্রামের ইউনুছ মোল্লার মেয়ে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, রোববার রাত দু’টার দিকে সুরাইয়া খাতুন তার শাশুড়িকে ডেকে জানান লাল্টু গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। বিষয়টি জানার পর লাল্টুর বড় ভাই মনিরুজ্জামান মিন্টু ও তার মা শোবার ঘরে গিয়ে দেখেন লাল্টু মেঝেতে শোয়ানো অবস্থায় রয়েছে। এরপর লাল্টুকে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নেয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। তার শরীর ও ঘরে আত্মহত্যার কোন আলামত ছিল না।
বাঘারপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফিরোজ উদ্দীন বলেন, চাকরিস্থল যশোর সেনানিবাস থেকে স¤প্রতি ছুটিতে বাড়িতে এসেছেন লাল্টু মণ্ডল। গহণা সংক্রান্ত বিষয়ে স্ত্রীর সাথে তার ঝগড়া হয়। লাল্টু সেই সময় স্ত্রীকে মারপিটও করেন। এরই জের ধরে রবিবার রাতে স্ত্রী সুরাইয়া খাতুন ঘুমন্ত অবস্থায় লাল্টুকে বালিশ চাপা ও গলায় রশি দিয়ে আটকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় পুলিশ নিহতের স্ত্রী সুরাইয়াকে আটক করেছে। বিষয়টি তিনি সোমবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।