যশোরাঞ্চলে নতুন বছরের শুরু থেকেই জেকে বসেছে শীত। গত ১১ জানুয়ারি থেকে তা তীব্র আকার ধারণ করে। গত ৫ দিনে কনকনে এ শীতে নাকাল হয়ে পড়ে যশোরের মানুষ। এ তীব্রতা কাটিয়ে মঙ্গলবার থেকে মানুষের মাঝে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে। এদিন রাত থেকে শীত কিছুটা কমতে শুরু করে। একইসাথে সকাল থেকেই দেখা মিলেছে সূর্যের। বেড়েছে তাপমাত্রা। এদিন সকাল ৬টায় যশোরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
যশোর আবহাওয়া অফিস সূত্র বলেছে, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, যার বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। রাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়েছে এবং এটি কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগে সাময়িকভাবে বিঘ্ন ঘটতে পারে।
মঙ্গলবার মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, দিনাজপুর, বরিশাল ও ভোলা জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু কিছু জায়গায় থেকে প্রশমিত হতে পারে।
এদিকে, যশোরে মঙ্গলবার সকাল থেকেই সূর্যের দেখা মিলেছে। ফলে কুয়াশার ঘনত্ব কমে গেছে। শীতও কিঞ্চিত কম অনুভূত হচ্ছে। মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। তারা ঘর ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে এসেছে এবং স্বাভাবিক কাজকর্মে ফিরে গেছে।
খুলনা গেজেট/এনএম