খুলনা, বাংলাদেশ | ৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২০ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্টর নিয়োগ নিয়ে ছাত্রদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
  ৭ দিনের জন্য আন্দোলন স্থগিত করেছেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা
  ইউনাইটেড হাসপাতালের চেয়ারম্যানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
  ৪০তম ব্যাচের ক্যাডেট এসআইদের সমাপনী কুচকাওয়াজ স্থগিত

যশোরে কাবিননামায় জালিয়াতি, কাজী-স্ত্রী-শ্বশুরের নামে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর

যশোরে বিয়ের কাবিননামায় জালিয়াতি করে বেশি দেনমোহর লেখায় দু’কাজী, স্ত্রী-শ্বশুরসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে।

বুধবার(৩০ মার্চ) অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের ফজলুল হক সানার ছেলে বিমান বাহিনীর সাবেক সদস্য শাহিনুর আলম বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেছেন।

জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মাহাদী হাসান অভিযোগের তদন্ত করে পিবিআইকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন।

মামলার আসামিরা হলেন, যশোর সদর উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের মুনতাজ আলী সরদার, তার মেয়ে ও শাহিনুর আলমের স্ত্রী সারমিন সুলতানা, শাহিনুর আলমের চাচা খুলনা কয়রা উপজেলার কয়রা গ্রামের রেজাউল করিম, মণিরামপুরের হরিদাসকাটি ইউনিয়নের কাজী হাফেজ সফিয়ার রহমান ও যশোর সদর উপজেলার আরবপুর ইউনিয়নের কাজী আব্দুল হামিদ।

মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, শাহিনুর আলম বিমান বাহিনীতে চাকরি করতেন। তার চাচা রেজাউল করিম বিমান বাহিনীতে এখনো চাকরি করেন। চাচার শ্বশুর বাড়ির আত্মীয়তার সুবাদে সারমিন সুলতানাকে বিয়ের জন্য প্রলুব্ধ করেন। একপর্যায়ে পারিবারিকভাবে সম্মতি হয়ে শাহিনুর এক লাখ টাকা দেন মোহরে ২০১৫ সালে হাফেজ সফিয়ার রহমানের বাড়িতে গিয়ে সারমিনকে বিয়ে করেন। এ সময় কাবিননামায় দেনমোহর লেখা হয় এক লাখ টাকা। পরে তিনি জানতে পারেন কাবিনে দেন মোহর ছয় লাখ টাকা লেখা হয়েছে।

শাহিনুর আলম এর প্রতিবাদ করলে আসামিরা ভুল স্বীকার করে পুনরায় কাবিন করার আশ্বাস দেন। ২০২১ সালের ৪ জুন আসামিরা শাহিনুর ও তার বাবকে সাথে নিয়ে যশোর সদর উপজেলার আরবপুর ইউনিয়নের কাজী আব্দুল হামিদের কাছে যান। সেখানে কাজী নতুন কাবিননামা তৈরি করে তাতে সকলের উপস্থিতিতে এক লাখ টাকা দেনমোহর নির্ধারণ ও পূরণ করেন। এরপর শাহিনুর রহমান কাবিননামার সত্যায়িত কপি তুলে দেখেন আসামিরা জালিয়াতি করে সাত লাখ টাকা করেছেন।

এরপর হাফেজ সফিয়ার রহমানের কাছে কাবিনের সত্যায়িত কপি চাইলে তিনি ২০ হাজার টাকা দাবি করেন। একপর্যায়ে কাজী কাবিনের সত্যায়িত কপি দিতে অস্বীকার করেন।

আসামিদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে শাহিনুর আলম বিমান বাহিনীর চাকরি থেকে ইস্তফা দেন। প্রতারণার মাধ্যমে জালিয়াতি করে আসামিরা কাবিননামায় ভুয়া দেনমোহর সৃষ্টি করায় তিনি বুধবার আদালতে এ মামলা করেছেন বলে উল্লেখ করেন।

খুলনা গেজেট/ এস আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!