যশোরে ঐতিহাসিক ৭ মার্চে সাতজনকে ব্যতিক্রমী সাজা দিয়ে প্রবেশনে মুক্তি দিয়েছেন একটি আদালত। সাজা হিসেবে আসামিদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ সংক্রান্ত বিস্তারিত জেনে একশ’ শব্দের মধ্যে একটি সারমর্ম লিখে প্রবেশন কর্মকর্তার কাছে জমা দিতে হবে। যুগ্ম দায়রা জজ শিমুল কুমার বিশ্বাস মামলার রায়ে এ আদেশ দেন।
এদিন পৃথক ছয়টি মামলায় সাতজনের প্রবেশনে মুক্তি দিয়েছে আদালত। এর বাইরেও রায়ে আসামিদের বিভিন্ন শর্ত দেয়া হয়েছে। এসব শর্ত মেনে প্রবেশন কর্মকর্তার অধীনে থেকে বাড়িতেই তাদের সাজা ভোগ করতে হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের এপিপি লতিফা ইয়াসমিন ও ভীম সেন দাস।
আসামিরা হলেন, বেনাপোল পোর্ট থানার বড়আঁচড়া গ্রামের কালু মোড়লের স্ত্রী সৌরভ খাতুন (এক বছর), বেনাপোলের ভবেরবেড় গ্রামের রেজাউল শেখের স্ত্রী তৃষ্ণা শেখ (এক বছর), বেনাপোলের পাটবাড়ি গ্রামের মোসলেম আলীর ছেলে আতিকুজ্জামান রনি (দু’বছর), মণিরামপুর উপজেলার মাড়াগাছা গ্রামের মৃত কুড়ন দফাদারের ছেলে সাখাওয়াত হোসেন সাকা (এক বছর) ও ঝিকরগাছা উপজেলার বেজিয়াতলা গ্রামের মৃত ওয়াজেদের ছেলে ইউনুস আলী (এক বছর), যশোর সদর উপজেলার উপশহর এ ব্লকের এসএম সাব্দার রহমানের ছেলে সৈয়দ হাসান হাবীব (এক বছর ) ও রেলগেট চোরমারা দিঘিরপাড় এলাকার আজগর আলীর ছেলে জাকির হোসেন (এক বছর)।
আদালতের বেঞ্জ সহকারী আব্দুল কাইয়ুম জানান, আসামিদের মধ্যে সৈয়দ হাসান হাবীব ও জাকির হোসেনকে ৭ মার্চের ভাষণ সংক্রান্ত বিস্তারিত জেনে একশ’ শব্দের মধ্যে একটি সারমর্ম লিখে প্রবেশন কর্মকর্তার কাছে জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। অন্যদের মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক বই পড়া, চলচ্চিত্র দেখা, গাছ লাগানো, লিগ্যাল এইড সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা, পথশিশুদের পরিচর্যাসহ বিভিন্ন শর্ত প্রবেশনে মুক্তি দেয়া হয়।
খুলনা গেজেট/কেএ