খুলনা, বাংলাদেশ | ১৯ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২ মে, ২০২৪

Breaking News

  হবিগঞ্জের মাধবপুরে ট্রাক ও প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে পাঁচজন নিহত
  ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্টের

এসপির কাছে অভিযোগ করায় হাত-পা ভাঙলো সন্ত্রাসীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর

যশোরের শার্শায় একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সন্ত্রাসী তৎপরতার বিষয়ে পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ করায় ভুক্তভোগীর হাত-পা ভেঙে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এ ব্যাপারে শার্শা থানায় নতুন করে আরও একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন নাভারণ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান। দ্বিতীয় দফায় মামলার পর প্রাণ সংশয়ে রয়েছেন ভুক্তভোগীর পরিবার।

গত ৩১ আগস্ট পুলিশ সুপারের কাছে দেয়া লিখিত অভিযোগে শার্শার পন্ডিতপুর গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে ওবায়দুর রহমান (৪৫) জানান, শার্শা উপজেলার গোর্কণ এলাকার সিদ্দিক হোসেন, তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম, মোজাম্মেল ও ডিহি গ্রামের শহিদুল ইসলাম মাদক কারবারের সাথে জড়িত। এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় গত ২৬ আগস্ট ওবায়দুর রহমানকে মারপিট করে সিদ্দিক। এসময় তার স্ত্রী নাজমা বেগম এগিয়ে আসলে তাকেও মারপিট করাসহ শ্লীলতাহানী ঘটায়। এ বিষয়ে ওইদিনই থানায় লিখিত অভিযোগ দেন নাজমা বেগম। তদন্তের জন্য গোড়পাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জহুরুল ইসলামকে দায়িত্ব দেয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করে। কিন্তু পুলিশ চলে যাবার পর ওই চক্রটি ফের তাদের উপর হামলা চালায়। এছাড়া অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। এরপর শহিদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি তাকে হত্যার হুমকি দেয়। এ অভিযোগটি তদন্তের জন্য পুলিশ সুপার দায়িত্ব দেন নাভারণ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরানকে।

সহকারী পুলিশ সুপার এ ঘটনা তদন্তে ওবায়দুর রহমানের পরিবারকে তার অফিসে যেতে বলেন গত ১৭ সেপ্টেম্বর। তার অফিসে যাবার সময় ওইদিন সকাল সাড়ে ৯ টায় সাড়াতলা বাজারে আনিছুর ডাক্তারের চেম্বারের সামনে পৌঁছালে ডিহি গ্রামের বিতর্কিত শহিদুল এসে তাকে মারপিট করে। লাঠি ও রড দিয়ে পিটিয়ে তার হাত পা ভেঙে দেয়। চিকিৎসা নেয়ার পর ২০ সেপ্টেম্বর থানায় উল্লেখিতদের বিরুদ্ধে তিনি আরও একটি অভিযোগ করেন। এ অভিযোগ তদন্ত করছেন এসআই বাবলু।

ভুক্তভোগী ওবায়দুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, তদন্ত কর্মকর্তা জানিয়েছেন স্থানীয় চাপ আছে, থানায় মামলা হবে না, আদালতে গিয়ে মামলা করতে হবে। এ ঘটনায় চরম হতাশা আর উৎকণ্ঠায় রয়েছেন তারা। প্রাণ সংশয়ে রয়েছেন বলেও তারা জানান।

বিষয়টি নিয়ে অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা এসআই বাবলু জানিয়েছেন, গোটা ঘটনা তিনি তদন্ত করেছেন। অভিযোগের সত্যতাও পেয়েছেন। থানায় অবশ্যই মামলা রের্কড হবে। ডিউটি অফিসারকে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন। আদালতে মামলা করতে বলা হয়েছে, এমন অভিযোগ সত্য নয়।

এ ব্যাপারে নাভারণ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান জানান, বিষয়টি তিনি অবগত আছেন, কার্যকরি ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি ভুক্তভোগী পরিবারকে তার সাথে যোগাযোগ করার জন্য বলেছেন।

খুলনা গেজেট/ টি আই

 




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!