যশোরে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আরো ৪৭০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। একইসময়ে মারা গেছেন আরো ১০ জন। উচ্চ ঝুঁকির কারণে যশোরের পাঁচটি পৌরসভা এলাকা ও ৯টি ইউনিয়নে লকডাউন চলছে। সেই সাথে জনগণকেও সচেতন হওয়ার জন্য প্রশাসন ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছে।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডাক্তার আরিফ আহম্মেদ ও সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য কর্মকর্তা ডাক্তার রেহেনেওয়াজ জানিয়েছেন , গত ২৪ ঘন্টায় যশোরে ৯৫১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৪৭০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৫৫ শতাংশ।
এসময়ে মারা গেছেন ১০ জন। এদের মধ্যে ৫ জন করোনা রোগী ও অপর ৫ জন উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। বর্তমানে হাসপাতালের রেডজোনে ৭৬ বেডের বিপরীতে করোনা রোগী ভর্তি আছেন ১৩১ জন। হাসপাতালে করোনা শয্যা সংখ্যার চেয়ে রোগী বেশি হওয়ায় চাপের মধ্যে রয়েছেন চিকিৎসকরা। জেনারেল হাসপাতালের রেডজোন করোনা ইউনিটে ২জনের মৃত্যু হয়েছে, বাকি ৩ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।
যশোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী সায়েমুজ্জামান জানান, করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বিধিনিষেধ এলাকা ভিত্তিক থেকে জেলায় সম্প্রসারণ করা হয়েছে। যা কার্যকর করতে প্রশাসন আরো কঠোর অবস্থানে রয়েছে। ওষুধের দোকান ছাড়া সকল নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান খোলা থাকবে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। এছাড়া পণ্যবাহী ট্রাক ও অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া সকল গণপরিবহণ চলাচল বন্ধ থাকবে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন বলেন, ‘যশোরে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। এখন গ্রাম পর্যায়েও মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। সংক্রমণের এখন পিক বা ঊর্ধ্বগতির সময় চলছে। তাই এখন কঠোরভাবে বিধিনিষেধসহ স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করতে হবে।’
খুলনা গেজেট/এনএম