ই-কমার্স এলটি মার্কেটিং লিমিটেডের এমডি, চেয়ারম্যানসহ চার জনের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে। যশোর আইটি পার্কের সিয়াস টেলিকমের মালিক কাশেম আলী বাদী হয়ে এ মামলাটি করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক পলাশ কুমার অভিযোগটি তদন্ত করে পিবিআইকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন।
আরো পড়ুন: অফিস-ফোন বন্ধ রেখে গাঁ ঢাকা এলটি অনলাইন মার্কেটিংয়ের চেয়ারম্যান-এমডির!
আরো পড়ুন: এবার ৪০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ‘এলটি অনলাইন মার্কেটিং’
আসামিরা হলো, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের আড়পাড়া গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে এলটি মার্কেটিংয়ের এমডি খোরশেদ আলম, মাগুরা শালিখার ধনেশ্বরগাতির ইবাদত আলীর ছেলে এলটি মার্কেটিংয়ের চেয়ারম্যান শামীম হোসেন, নড়াইল লোহাগাড়ার মরিচপাশা গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে মামিদুর রহমান হামিম ও চট্টগ্রাম শহরের দেবপাহাড় কলেজ রোডের ওদুদ ভিলার আনছারুল হকের ছেলে কামরুল হাসান।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, কাশেম আলীর যশোর আইটি পার্কে মোবাইল ও মোবাইল পাটর্সের ব্যবসা রয়েছে। দোকান থেকে মোবাইল ক্রয়ের সূত্র ধরে আসামি খোরশেদ আলম ও শামীমের সাথে তার পরিচয় হয়। আসামিদের সাথে সম্পর্কের এক পর্যায়ে তারা নিজেদের ই-কর্মাস এলটি মার্কেটিং প্রাইভেট লিমিটেডের কর্মকর্তা পরিচয়ে বিনিয়োগ করতে প্রলুব্ধ করেন। একপর্যায়ে আসামিদের প্রলোভনে পড়ে কাশেম আলী ২০২১ সালে কয়েক কিস্তিতে ১১ লাখ ৯০ হাজার ৬শ’ টাকা বিনিয়োগ করেন তাদের প্রতিষ্ঠানে। বিনিয়োগের পলিসি অনুযায়ী লভ্যাংশ চাইলে আসামিরা না দিয়ে ঘোরাতে থাকেন।
একপর্যায়ে আসামিদের কথাবার্তায় সন্দেহ হলে ঢাকার প্রধান কার্যালয়ের ঠিকানায় গিয়ে দেখেন ই-কর্মাস এলটি মার্কেটিংয়ের কোন অফিস নেই। এরপর কাশেম আলী প্রতারণার শিকার হয়েছেন বুঝতে পেরে ঝিনাইদহে আসামি খোরশেদ আলমের বাড়িতে যান। এলাকায় বিষয়টি জানাজানি হলে খোরশেদ ঢাকার ফ্লাট বিক্রি করে টাকা পরিশোধ করবে বলে অঙ্গীকার করেন। আসামিদের কাছে টাকার তাগাদা করায় গত ২১ মার্চ তারা দোকানে এসে টাকা দিতে পারবেন না বলে হুমকি দিয়ে যায়। এ টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে বুধবার তিনি আদালতে এ মামলাটি করেছেন।
খুলনা গেজেট/কেএ/ টি আই