খুলনা, বাংলাদেশ | ১৯ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২ মে, ২০২৪

Breaking News

  সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী আর নেই
  ৪৯ টাকা কমে ১২ কেজি এলপিজির নতুন দাম ১ হাজার ৩৯৩ টাকা
  অর্থ আত্মসাৎ মামলায় জামিন পেলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস
কাগজপত্র, ডাক্তার, নার্স কোন কিছুই নেই

যশোরের বিতর্কিত ফাতিমা ক্লিনিকসহ ৪ প্রতিষ্ঠান সিল

যশোর প্রতিনিধি

লাইসেন্স, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, ডাক্তার, ডিপ্লোমা নার্সসহ কাগজপত্র না থাকায় যশোরের বাঘারপাড়ার বিতর্কিত ফাতিমা ক্লিনিকসহ ৪টি বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান সিলগালা করেছে যশোর স্বাস্থ্যবিভাগ। মঙ্গলবার ( ০২ মার্চ ) যশোরের সিভিল সার্জন ডাক্তার শেখ আবু শাহীনের নেতৃত্বে পরিচালিত পরিদর্শন কার্যক্রমের সময় এসব ক্লিনিক সিলগালা করা হয়। ওই ৪টি প্রতিষ্ঠান দিনের পর দিন সকল বিধি উপেক্ষা করে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে চলছিল।

যশোরে স্বাস্থ্যসেবা সেক্টরে অনিয়ম ও অসঙ্গতি রুখতে এ অভিযান অব্যাহত রাখা হবে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডাক্তার শেখ আবু শাহীন।

সিভিল সার্জন অফিস সূত্র জানিয়েছে, সংঘবদ্ধ অসাধু চক্র যশোর শহরসহ উপজেলা ও ছোট বড় বাজার পর্যায়ে অবৈধভাবে হাসপাতাল ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার খুলে চালিয়ে যাচ্ছে। অনেক প্রতিষ্ঠানকে দফায় দফায় সতর্ক করা হলেও তারা উল্টো রোগী সেবার নামে প্রতারণার ব্যবসা অব্যাহতভাবে চালিয়ে যাচ্ছে। স্বাস্থ্য বিভাগের কোন অনুমোদন ছাড়াই শয্যাও খোলা হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের অনুমতি নেই, ডাক্তার, নার্স নেই, এরপরও প্রতিদিন রোগী দেখা হচ্ছে, রোগী ভর্তি করা হচ্ছে, প্যাথলজিক্যাল নানা পরীক্ষা নিরীক্ষাও করা হচ্ছে। এসব ভয়ঙ্কর তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার দুপুরে বাঘারপাড়ায় অভিযান পরিচালনা করে স্বাস্থ্য বিভাগ। এসময় স্বাস্থ্যবিধির ব্যত্যয় ঘটিয়ে চলা ওয়াহিদুর রহমানের মালিকানাধীন ফাতেমা ক্লিনিকে পাওয়া যায় নানা অসঙ্গতি। উপজেলা পরিষদের সামনে স্বাস্থ্যসেবার নামে যথেচ্ছা চালিয়ে যাওয়া ফাতিমা ক্লিনিকের অপারেশন থিয়েটার ও আল্ট্রাসনো রুম সিলগালা করা হয়। প্যাথলজি ল্যাব না থাকা সত্বেও মেমো কাটা হয়। ডাক্তার নার্স কিছুই পওয়া যায়নি ওই সময়। ডাক্তারের চিকিৎসা ব্যবস্থাপত্রও পাওয়া যায়নি।

এছাড়াও উপজেলার হাজী ডায়াগনস্টিক ও প্রথমা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালিয়ে নানা অসংগতি ধরা পড়ে। এসময় ওই দুটি প্রতিষ্ঠানও সিলড করা হয়। এদিকে চৌরাস্থা মোড়ের আনোয়ারা ক্লিনিকের কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হলেও আল্ট্রাসনো করা হয়। এখানেও ডাক্তার-নার্সকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

একই এলাকায় অবস্থিত মোল্লা ডেন্টাল কেয়ারের মালিক মনিরুল ইসলাম অভিযানের কথা শুনে পালিয়ে যান। পরে এ প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়। এছাড়া বাঘারপাড়া ক্লিনিকে অভিযান চালিয়ে নানা বিষয়ে সতর্ক করা হয়। একইদিন বাঘারপাড়ার জান্নাতি ও রাজমহল নামে দুটি হোটেলে পঁচাবাসী খাবার নষ্ট করা হয় এবং হোটেল কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করা হয়।

অভিযানের সময় সিভিল সার্জনের সাথে উপস্থিত ছিলেন ডাক্তার আব্দুর রহিম মোড়ল, সিনিয়র কনসালটেন্ট সার্জারি ডাক্তার শরিফুল ইসলাম, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম এবং সিভিল সার্জন অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান।

সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন বলেন, অনেকগুলো নেই নেই এর মধ্যে চলছিল ওই স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলো। তাদেরকে বারবার নোটিশ করা হয়েছে কাগজপত্র হালনাগাদ করতে। কিন্তু প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ কিছুই করেনি। লাইসেন্স না থাকা, প্যাথলজি সমস্যা, ডাক্তার নার্স না থাকায় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে জেলায় অবস্থিত বিভিন্ন ক্লিনিকে অভিযানের অংশ হিসেবে বাঘারপাড়ায় ক্লিনিকগুলোতে অভিযান চালানো হয়েছে। দেখা গেছে ক্লিনিকের অপারেশন থিয়েটার সমস্যা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ত্রুটি, পরিবেশ ও নারকোটিক্স সার্টিফিকেট নেই। এ জাতীয় সমস্যার কারনে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

 

খুলনা গেজেট/এমএইচবি

 




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!