যশোরে এক প্রাইভেটকার চালককে আটকে রেখে মারপিট, নারীর সাথে জোর করে ছবি তুলিয়ে ব্লাকমেইলিং ও মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। সদর উপজেলার ভেকুটিয়া শেখপাড়া গ্রামের আলী হায়দারের ছেলে ভিকটিম তুহিন এ মামলাটি করেন।
আসামিরা হলেন, খালধার রোড বরফকল এলাকার সুমন, কাজীপাড়া কাঁঠালতলার শিলা, ঘোপ বুড়ির বাগান এলাকার জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে রাসেল, ঘোপ সেন্ট্রাল রোডের আলমগীর হোসেনের ছেলে রেজওয়ান, মৃত হারুণের ছেলে মাহারাজ, ঘোপ জেল রোডের উজ্জল, বেলতলার পাঁচুর ছেলে রানা, ঘোপ বেলতলা বউ বাজার এলাকার আকাশ, আরিফ এবং নীলগঞ্জ এলাকার রিপন। এছাড়া অজ্ঞাত আরো ২/৩জন রয়েছেন। মামলার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে কুইন্স হাসপাতালের সামনে থেকে এজাহারভুক্ত আসামি মহারাজকে আটক করে।
মামলায় তুহিন বলেছেন, তিনি শহরের বেজপাড়া দরবেশ বাড়ির প্রাইভেটকার চালক। আসামি সুমনের সাথে তার পূর্ব পরিচয় ছিল। সেই সূত্রে মাঝে মধ্যে কথাবার্তা হতো। গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে তিনি বেজপাড়ায় ছিলেন। সেই সময় সুমন মোবাইল ফোনে কল করে এবং কুইন্স হাসপাতালের সামনে যেতে বলেন। তিনি একটি রিকসা নিয়ে হাসপাতালের সামনে নামেন। সেখানে আসামি সুমনসহ তার সহযোগিরা ছিলো।
কথাবার্তার এক পর্যায়ে আসামিরা তাকে কুইন্স হাসপাতালের দক্ষিণ পাশের পলাশের কাঠগোলার মধ্যে নিয়ে যায়। সেখানে গেলে আসামিরা তার কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এ টাকা দিতে অস্বীকার করলে আসামিরা তার পরিহিত শার্ট খুলে অপর আসামি শিলার সাথে নানা ভঙ্গিতে মোবাইল ফোনের ক্যামরায় ছবি উঠিয়ে রাখে। বলা হয় টাকা না দিলে এ ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়া হবে।
এসময় তার কাছে থাকা বেতন বাবদ ৩০ হাজার টাকা তারা ছিনিয়ে নেয়। বাকি টাকার জন্য মারপিট করে। বাধ্য হয়ে তিনি তার শ্যালক সবুজের কাছে মোবাইল করেন এবং সবুজ আরো ২০ হাজার টাকা বিকাশে পাঠিয়ে দেয়। এরপরে আসামিরা তাকে মণিহার এলাকায় নিয়ে ছেড়ে দেয়।
খুলনা গেজেট/কেএ