যশোরের আলোচিত সন্ত্রাসী ইয়াসিন আরাফাত ওরফে ইয়াসিন হত্যায় জড়িত অভিযোগে রুবেল ও রানা নামে দুই ভাইকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। বুধবার গভীররাতে খুলনা শিরোমনি থেকে তাদের আটক করা হয়। পরে তাদেরকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আটক রুবেল ও রানা শহরের শংকরপুর এলাকার তোরাব আলীর ছেলে।
যশোর ডিবি পুলিশের এসআই মফিজুল ইসলাম বলেন, ইয়াসিন হত্যার পরই জড়িতদের আটকের জন্য পুলিশ অভিযান নামে। এক পর্যায়ে তারা সোর্সের মাধ্যমে খবর পান সন্দেহভাজন খুনি রুবেল ও রানা দুই ভাই খুলনার শিরোমনির লিন্ডা প্রাইভেট হাসপাতাল অবস্থান করছে। পরে সেখানে অভিযান চালিয়ে গভীররাতে তাদের আটক করা হয়। জেনারেল হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোরে পুলিশ রুবেল ও রানাকে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। তারা হাসপাতালে পুলিশি পাহারায় রয়েছে। হাসপাতালের রেজিস্ট্রি খাতায় তারা গণপিটুনিতে আহত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। অবশ্য বিষয়টি নিয়ে পুলিশের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, বুধবার রাতে শহরের বেজপাড়া চোপদারপাড়া এলাকায় ব্রাদার্স ক্লাবের মধ্যে ঢুকে সন্ত্রাসীরা ইয়াসিন আরাফাত ওরফে ইয়াসিনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাতে খুন করে। নিহতের স্ত্রী শাহানা আক্তার নিশা দাবি করেছেন, মাদক ব্যবসায় বাধা দেয়ায় ইয়াসিনকে স্বর্ণকার রানা, রুবেল, মাঠপাড়ার সুমনসহ সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিতভাবে খুন করেছে।
পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, ইয়াসিনের নেতৃত্বে এলাকায় নানা অপরাধ চলতো। তার নামে হত্যাসহ ডজনখানেক মামলা রয়েছে। এক সময় নাজির শংকরপুর মাঠপাড়ার সুমন একসাথে থাকলেও বেশি কিছু দিন তাদের মধ্যে নেতৃত্ব নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছে। এ জন্য সুমন পৃথক একটি গ্রুপ তৈরি করে। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করাকে প্রন্দ্র করেই দুই পক্ষের মধ্যে এ বিরোধ। এরই জের ধরে সুমনের ক্যাডার রানা, রুবেল, ফারাজীসহ সন্ত্রাসীরা তাকে পরিকল্পিতভাবে খুন করেছে।
কোতয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তাজুল ইসলাম জানান, প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে ইয়াসিন মারা গেছে। তার নামে কোতোয়ালী থানায় হত্যা, চাঁদাবাজি, ছিনতাইসহ এক ডজন মামলা রয়েছে বলে জেনেছি। একই সাথে ইয়াসিন হত্যার সাথে জড়িতদের আটকে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
খুলনা গেজেট/এএ