দুর্নীতির মামলায় দি ঢাকা মার্কেন্টাইল কো-অপারেটিভ ব্যাংক লিমিটেড যশোরের নওয়াপাড়া শাখার সাবেক ম্যানেজার রেশাদ মো. আব্দুল আজিমকে সাত বছর সশ্রম কারাদন্ড ও অর্থদন্ড দিয়েছেন আদালত।
একইসাথে আত্মসাতকৃত সাত লাখ ৮২ হাজার টাকা জরিমানা করে রাষ্ট্রের অনুকূলে জমা দেয়ার আদেশ দেয়া হয়েছে।
দন্ডপ্রাপ্ত (চাকরিচ্যুত) রেশাদ মো. আব্দুল আজিম খুলনার শেরেবাংলা রোডের বানিয়াখামার এলাকার মৃত শেখ শওকত আলীর ছেলে।
স্পেশাল জজ (জেলা ও দায়রা জজ) আদালতের বিচারক মোহাম্মদ সামছুল হক এক রায়ে এ আদেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের পিপি অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম। সাজাপ্রাপ্ত রেশাদ মো. আব্দুল আজিম পলাতক রয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০০৭ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি রেশাদ মো. আব্দুল আজিম নওয়াপাড়া বাজার শাখায় ব্যবস্থাপক হিসেবে যোগদান করেন। এরপর ব্যাংকের কর্মকর্তা ইদ্রিস আলী ও শেখ আব্দুল হোসেনের সহযোগিতায় তিনি ৪০ লাখ ৮৬ হাজার ৪শ’ ২৭ টাকা আত্মসাৎ করেন। যা ২০১২ সালের ৪ জুন থেকে ১৩ জুন পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ অডিটে ধরা পড়ে। এ ব্যাপারে তৎকালীন ম্যানেজার মো. সুলতান ২০১৩ সালের ৬ জুন ওই তিনজনকে আসামি করে সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে মামলা করেন। এ মামলার তদন্তের দায়িত্ব পান দুদকের সহকারী পরিচালক ওয়াজেদ আলী গাজী।
মামলার তদন্ত সূত্রে জানা গেছে, আসামি ব্যবস্থাপক রেশাদ মো.আব্দুল আজিম ২৪ জন গ্রাহকের বিনিয়োগ বিতরণের সময় স্বাক্ষরিত অলিখিত চেক রেখে দেন। ২০১১ সালের ২৪ জুলাই থেকে ১২ সালের ১৭ মে পর্যন্ত তিনি ওই চেকগুলো নগদায়ন করে ১০ লাখ ৮৯ হাজার ৭শ’ ২০ টাকা আত্মসাৎ করেন। অডিটে বিষয়টি ধরা পড়লে তিনি ৪০ হাজার টাকা ব্যাংকে জমা দেন। বাকি ১০ লাখ ৪৯ হাজার ৭শ’ ২৫ টাকা ফেরত দেননি। একইভাবে তিনি ব্যাংকের আরো ৩০ লক্ষাধিক টাকা আত্মসাত করেন। এ মামলার সাক্ষীদের বক্তব্য ও অডিট রিপোর্ট পর্যালোচনা করে দুর্নীতির মাধ্যমে টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়ায় ২০১৭ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আসামি রেশাদ মো. আব্দুল আজিমকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা। অপর দু’ আসামি ইদ্রিস আলী ও শেখ আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ না পাওয়ায় চার্জশিটে তাদের অব্যাহতির আবেদন করা হয়।
এ মামলার দীর্ঘ সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামি রেশাদ মো. আব্দুল আজিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মঙ্গলবার বিচারক তাকে সাত বছর সশ্রম কারাদন্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন। এছাড়া আত্মসাতকৃত সাত লাখ ৮২ হাজার টাকা জরিমানা রাষ্ট্রের অনুকূলে জমা দেয়ার আদেশ দেয়া হয়েছে।
খুলনা গেজেট/ এস আই