জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি বিকৃতকারী যবিপ্রবির সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের ঘোষিত রায় দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে যশোরে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীরা মানববন্ধন করেছে। এসময় ড. আনোয়ার হোসেনকে যশোরে অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২৭ মে)বেলা ১১টায় প্রেসক্লাব যশোরের সামনে মুজিব সড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পরে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে একই দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি দেয়া হয়।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেস্ক ক্যালেন্ডারে বারংবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি বিকৃত করা হয়েছে। যে ঘটনায় যশোরবাসীর মতো আমরা ক্ষুব্ধ-মর্মাহত। এরই প্রেক্ষিতে যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বিপুল মহামান্য হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন। যার নম্বর ৬৫১০/২০১৯।
এ মামলার রায়ে হাইকোর্ট ২০২০ সালের ১৫ জানুয়ারি যবিপ্রবি ভিসি প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেনকে দোষী সাব্যস্ত করেন। ঘোষিত রায়ে বলা হয়, ‘জাতির পিতা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ছবি বিকৃত করা রাষ্ট্রদ্রোহীতার শামিল। উপাচার্য এর দায় এড়াতে পারেন না। মন্ত্রী পরিষদ সচিবকে রায় প্রাপ্তির একমাসের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করে অবহিত করতে বলা হলো। ’ কিন্তু করোনা মহামারির কারণে হাইকোর্টের এ রায় এখনো কার্যকর করা যায়নি। আমরা চাই দ্রুত হাইকোর্টের এ রায় বাস্তবায়নের মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি বিকৃতকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হোক।
স্মারকলিপিতে ছবি বিকৃতির সাথে জড়িতদের সরকারি কোন দায়িত্বশীল পদের জন্য অযোগ্য ঘোষণার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়। স্মারকলিপির সাথে হাইকোর্টের রায়ের পর দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন, দৈনিক সমকাল, বাংলা ট্রিবিউন ও দৈনিক কালেরকণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করা হয়।
স্মারকলিপি দেয়ার আগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি বিকৃতকারী যবিপ্রবির সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেনের কুশপুত্তলিকা দাহ করার কর্মসূচি থাকলেও পুলিশি হস্তক্ষেপে তা সম্ভব হয়নি। পুলিশের একটি দল এসে নেতাকর্মীদের কাছ থেকে কুশপুত্তলিকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য দেন যশোর জেলা মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি মাহবুব আলম বিদ্যুৎ, সাধারণ সম্পাদক আহসানুল করিম রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক ওবায়দুল ইসলাম রাকিব, যশোর শহর মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আব্দুল কাদের, সাধারণ সম্পাদক তছিকুর রহমান রাসেল প্রমুখ।
খুলনা গেজেট/ এস আই