যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) শিক্ষার্থীকে আবাসিক হলে আটকে নির্যাতন ও চাঁদাবাজির ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। এতে অজ্ঞাত একজনসহ তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার বাদী হচ্ছেন যবিপ্রবির শহীদ মশিউর রহমান হলের প্রভোস্ট সহযোগী অধ্যাপক আশরাফুজ্জামান জাহিদ।
মামলার আসামিরা হলো, বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ শোয়েব আলী ও সালমান এম রহমান।
যশোর কোতোয়লি থানার ওসি তাজুল ইসলাম জানান, সোমবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসমাইল হোসেন নামে এক শিক্ষার্থীকে মারপিট ও ১০ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। এরপর অভিযোগটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়। মামলা নং ১৫। বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, রোববার দুপুর ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি (এনএফটি) বিভাগের শিক্ষার্থী ইসমাইল হোসেনকে শহীদ মশিউর রহমান হলের ৫২৮ নম্বরের কক্ষে ডেকে নিয়ে পাঁচ ঘন্টা ধরে নির্যাতন চালায় ছাত্রলীগ কর্মী হিসেবে পরিচিত সালমান, শোয়েবসহ তিনজন। এসময় তার কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। পরে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত সালমান ও শোয়েবকে হল ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে।
এদিকে, অভিযোগ করা হচ্ছে নির্যাতনের ঘটনায় ছাত্রলীগের কর্মীরা জড়িত রয়েছে। যে কক্ষে আটকে নির্যাতন করা হয়েছে সেটিও ছাত্রলীগের রুম বলে চিহ্নিত। নির্যাতনের ঘটনায় বিচার দাবি করলেও শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগ ইস্যুতে প্রকাশ্যে আসতে শংকা রোধ করছেন। তবে এ ঘটনায় ছাত্রলীগের কোন সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবি করেছেন ছাত্রলীগের সভাপতি।
খুলনা গেজেট/ এসজেড