খুলনা, বাংলাদেশ | ২১ বৈশাখ, ১৪৩১ | ৪ মে, ২০২৪

Breaking News

  কাল থেকে দেশের সকল মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে : শিক্ষা মন্ত্রণালয়
  সুন্দরবনের গহিনে জ্বলছে আগুন
  দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় ৬১ জনকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি
  মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত

মোড়েলগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ভিজিডি‘র চাল আত্মসাতের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক,বাগেরহাট

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার জিউধরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর বাদশা‘র বিরুদ্ধে বস্তা থেকে ভিজিডি‘র চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (০৩ মে) বেলা ১১টায় কাকড়াতলী বাজারে অবস্থিত জিউধরা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে চাল বিতরণের সময় এই অভিযোগ তোলেন কয়েকজন ইউপি সদস্য। তখন বস্তায় চাল কম থাকায় উপকারভোগীদের মাঝে বিতরণ বন্ধ করে গুদামে তালা মেরে দেন সরকারি ট্যাগ অফিসার উপ-সহকারি প্রকৌশলী মোঃ মনিরুল ইসলাম।

এদিকে চাল আত্মসাতসহ চেয়ারম্যানের অন্যান্য অনিয়মের সঠিক তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন ইউপি সদস্যরা।

জিউধরা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য সাইদুল ইসলাম বলেন, ট্যাগ অফিসারের নির্দেশে কয়েকটি বস্তা পরিমাপ করা হয়। কোন বস্তায়ই ৩০ কেজি চাল ছিল না। ২৪ কেজি থেকে ২৭ কেজি পর্যন্ত চাল পাওয়া গেছে। পরিষদের সদস্য হিসেবে দরিদ্রদের মাঝে কম চাল বিতরণ না করার জন্য অনুরোধ করলে চেয়ারম্যান আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়। আমাকে মারধর করার হুমকি দেয়।

৬ নং ওয়ার্ডের সদস্য মোকছেদ আলী হাওলাদার বলেন, চেয়ারম্যান তার লোকজন দিয়ে রাতের আধারে বস্তায় চাল বের করার বোমা মেরে নামিয়ে রেখেছে। বস্তা ভেদে ৩ কেজি থেকে ৬ কেজি পর্যন্ত চাল কম রয়েছে। আমরা সদস্যরা বিষয়টির প্রতিবাদ করলে সে ইউপি সদস্য সাইদুল ইসলামসহ অন্যান্যদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়।

সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য মায়া মন্ডল বলেন, শুধু চাল নয়, চেয়ারম্যান পরিষদে নানা ধরণের অনিয়ম করেন। আমাদের কোন কাজে সম্পৃক্ত করেন না। এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে সহস্রাধিক মানুষের কাছ থেকে ৭ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুষ নিয়েছেন। ওই পানির ট্যাংকি বিতরণের রেজুলেশনে আমরা তেমন কেউ স্বাক্ষর করিনি। ইউপি সদস্য মোঃ হারুণ হাওলাদারের স্বাক্ষর জাল করেছেন চেয়ারম্যান।

চাল বিতরণের সময় থাকা সরকারি ট্যাগ অফিসার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর মোরেলগঞ্জ উপজেলার উপ-সহকারি প্রকৌশলী মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, বস্তায় চাল কম থাকায় আমি বিতরণ বন্ধ করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানিয়েছি।

চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর বাদশা বলেন, আমি কোন দূর্নীতি করিনা। চাল চুরির তো প্রশ্নই আসে না। আমার কয়েকজন রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা এই ধরণের অপপ্রচার চালাচ্ছেন।

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেন, বিষয়টি জানার পরে জিউধরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে সতর্ক করা হয়েছে। যদি ওই ইউনিয়নের কোন উপকারভোগী নির্দিষ্ট পরিমানের থেকে কম চাল পেয়েছে এমন অভিযোগ থাকে তাহলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

খুলনা গেজেট/ এসজেড




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!