খুলনা, বাংলাদেশ | ২২ বৈশাখ, ১৪৩১ | ৫ মে, ২০২৪

Breaking News

  কাল থেকে দেশের সকল মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে : শিক্ষা মন্ত্রণালয়
  সুন্দরবনের গহিনে জ্বলছে আগুন
  দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় ৬১ জনকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি
  মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত

মোংলায় জমিসহ ঘর মালিক হচ্ছেন অর্ধশত ভূমিহীন

মোংলা প্রতিনিধি

পেশায় দিনমজুর, থাকেন পরের বারান্দায় কিংবা অন্যের জমিতে। এমন দরিদ্র পরিবার এখন পেতে যাচ্ছেন পাকা ঘর ও জমি। ঘরে থাকছে বিদ্যুৎ সংযোগও। ভূমি ও গৃহহীন দরিদ্র পরিবারগুলো এ ঘর পেয়ে যেন তাদের আনন্দের শেষ নেই। তেমনি খুশির পাশাপাশি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীকে। মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে হত দরিদ্রদের এ ঘর বানিয়ে দেয়া হচ্ছে সরকারের পক্ষ থেকে। ইতিমধ্যে উপকারভোগীদের প্রত্যেকের নামে দুই শতক ভূমিসহ ওইসব ঘরের দলিল ও নামপত্তন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। আগামী শনিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধনের পর স্থানীয়ভাবে ঘরের দলিল ও চাবি হস্তান্তর করা হবে উপকারভোগী হাতে।

মোংলার চাঁদপাই ইউনিয়নের মাকড়ঢোন এলাকায় মোংলা-ঘাষিয়াখালী চ্যানেলের পাড়ের খাস জমিতে নিমার্ণ করা হয়েছে ৫০টি পাকা ঘর। সামনে বারান্দা, দুইটি রুম, একটি রান্না ও বাথ রুম সম্বলিত ঘরসহ দুই শতক করে জমি দেয়া হবে প্রত্যেক পরিবারকে। সেই সাথে নতুন ঘরে থাকছে মিটারসহ বৈদ্যুৎতিক সংযোগের ব্যবস্থাও। সেখানকার বাসিন্দাদের সুপেয় পানির চাহিদা মিটাতে খনন করা হচ্ছে একটি মিষ্টি পানির পুকুরও, রয়েছে সংযোগ সড়ক।

বনবিভাগের সহায়তায় ওই প্রকল্প এলাকা জুড়ে সবুজ বনায়নের আওতায় আনারও উদ্যোগ রয়েছে স্থানীয় প্রশাসনের। মাকড়ঢোনের এ প্রকল্প এলাকা এখন যেন দৃষ্টি নন্দন স্বপ্নের নীড়। জমিসহ ৫০টি এ ঘরের মালিক হতে যাচ্ছেন স্থানীয় ভিক্ষুক, সবজি বিক্রেতা ও প্রতিবন্ধী পরিবারগুলো।

জীবনের বেশির ভাগ সময় ধরে অন্যের জায়গায় বসবাসকারী এ সকল উপকারভোগী স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া এ ঘর পেয়ে স্থায়ীভাবে মাথাগোজার ঠাঁই হয়েছে তাদের। তাই খুশি মনে প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছেন তারা।

উপজেলা নিবার্হী অফিসার কমলেশ মজুমদার বলেন, অনেকটা চ্যালেঞ্জিংয়ের মধ্যদিয়েই এ ঘরগুলো নিমার্ণ করতে হয়েছে। তিনি বলেন, চ্যালেঞ্জিং বলতে এ এলাকায় এবং কাছাকাছি কোথাও ইটের ভাটা নেই। তাই দূর থেকে ইট, বালু আনতে খরচ পড়ে যায় বেশি। প্রতিটি ঘরে খরচ হচ্ছে ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। ইতিমধ্যেই বরাদ্দের চেয়েও বেশি টাকা খরচ হয়েছে এ গৃহ নিমার্ণে। ৫০টি ঘর নিমার্ণ কাজ এখন প্রায় শেষ পযার্য়ে। কোন কোনটায় চলছে শেষ মুহূর্তের রংয়ের কাজ। আগামী ২৩ জানুয়ারী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী এ ঘরগুলো তুলে দিবেন সুবিধাভোগীদের মাঝে।
যাচাই বাছাই করে ‘ক’ তালিকায় থাকা ১ হাজার পরিবারের মধ্যে অধিক দরিদ্রদের দেয়া হচ্ছে এ ঘর। পযার্য়ক্রমে দেয়া হবে তালিকার অন্যান্যদের বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন।

খুলনা গেজেট/এ হোসেন




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!