খুলনা, বাংলাদেশ | ২২ বৈশাখ, ১৪৩১ | ৫ মে, ২০২৪

Breaking News

  কাল থেকে দেশের সকল মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে : শিক্ষা মন্ত্রণালয়
  সুন্দরবনের গহিনে জ্বলছে আগুন
  দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় ৬১ জনকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি
  মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত

মা-ভাইকে আটকে রেখে ঘরে আগুন দিল ছেলে

গে‌জেট ডেস্ক

গাইবান্ধায় মা ও সৎ ভাইকে ঘরে আটকে রেখে আগুন দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে এক তরুণের বিরুদ্ধে। বুধবার সন্ধ্যার দিকে গাইবান্ধা পৌর শহরের খানকাহ শরীফ এলাকার একটি বাসায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মা মামুনি বেগম ও তিন বছরের শিশু ছেলে প্রাণে বাঁচলেও আগুনে পুড়ে গেছে ঘরের আসবাবপত্রসহ মূল্যবান জিনিসপত্র।

জানা যায়, মামুনি বেগমের সাবেক স্বামী আবদুর রশিদ প্রধানের তৃতীয় ছেলে অনিক। বাবার সঙ্গে অনিক গাইবান্ধা পৌর শহরের কুঠিপাড়া এলাকার বাড়িতে থাকে।

স্থানীয়রা জানান, ২০১৬ সালে অনিকসহ তিন ছেলেকে রেখে মামুনি বেগম বিয়ে করেন জিয়াউর রহমানকে। বর্তমানে মামুনি ও জিয়াউরের তিন বছরের একটি ছেলে সন্তানও রয়েছে।

দীর্ঘদিন ধরে প্রথম স্বামীর ছেলে অনিক মামুনির কাছে টাকা দাবিসহ নানা কারণে নির্যাতন করে আসছিলেন।কিন্তু তিনি টাকা দিতে পারেননি। একারণে তাকে হুমকিও দেয় অনিক।

সন্ধ্যার দিকে হঠাৎ খানকা শরীফ এলাকার বাসায় এসে মামুনিকে গালিগালাজ করতে থাকে অনিক। একপর্যায়ে ঘরে আগুন দিয়ে বাইরে থেকে দরজা লাগিয়ে পালিয়ে যান অনিক। পরে আশপাশের লোকজন দরজা ভেঙে তাদের উদ্ধার করে।

মামুনি বেগমের অভিযোগ, সম্প্রতি চুরির মামলায় জেল থেকে ছাড়া পেয়েছে অনিক। টাকা চেয়ে না পাওয়ায় সৎ ভাইসহ তাকে (মামুনি) হত্যার উদ্দেশে ঘরে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটিয়েছে। তিনি বলেন, টাকা দেইনি। তাই আমাকে আর ছেলেকে সে হত্যা করতে চাইছিল।

বাড়ির মালিক আমিনুল ইসলাম জানান, হঠাৎ বাসার নিচের টিনসেড ঘরে আগুন দেখা যায়। পরে স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

গাইবান্ধা সদর থানার ওসি তদন্ত আব্দুর রউফ জানান, আগুন লাগার কথা শুনেছি। তবে এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।

গাইবান্ধা ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। তবে ধারণা করা হচ্ছে, আগুনে প্রায় ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি হতে পারে।

খুলনা গেজেট/ টি আই




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!