খুলনা, বাংলাদেশ | ৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ১৯ মে, ২০২৪

Breaking News

মামলা-গ্রেপ্তা‌রে দিশেহারা খুলনা বিএনপি, নেতাকর্মীরা যা‌চ্ছেন ঢাকায়

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশব্যাপী শুরু হওয়া বিশেষ অভিযানে নতুন করে চাপে পড়েছে খুলনা বিএনপি। গত ৩ দিনে প্রায় অর্ধশত নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন। প্রতিরাতেই বাড়ি বাড়ি অভিযান চলছে। এর মধ্যে ফের শুরু হয়েছে মামলা। সবমিলিয়ে দিশেহারা অবস্থায় রয়েছে দলটির নেতাকর্মীরা।

বিএনপি নেতারা জানান, অভিযানে বিএনপি নেতাদের বাড়িতে অভিযান চালানো হবে, এমন আশংকা আগে থেকেই ছিলো। কিন্তু অভিযান এতো জোরালো হবে সেটি তারা বুঝতে পারেননি। গ্রেপ্তার এড়াতে অনেক নেতা এখন এলাকায় ছেড়েছেন। মঙ্গলবার আটক হওয়া নেতাকর্মীদের খাবার দিতে থানায় গেলে গ্রেফতার করা হয়েছে মহানগর বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বে থাকা নেতা শরিফুল ইসলাম টিপুকে। এরপর থেকে দলের অবস্থা আরও ছন্নছাড়া। কোন থানায় কে আটক বা মামলা হচ্ছে-এই তথ্যও কেউ জানাতে পারছে না।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, অভিযান শুরুর প্রথম দিনেই ১৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ সাজ্জাদ আহসান পরাগ, ২ নং ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক .মোঃ ইমদাদুল হকসহ ২৬ জনকে আটক করা হয়। পরের দুই দিন আরও ২৫ জন আটক হয়েছেন। নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।

এরই মধ্যে সরকারের বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগে খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পিসহ বিএনপির ৮০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে গত ৪ ডিসেম্বর রাতে মামলা করেছে পুলিশ।

ওই মামলায় নাম উল্লেখ করা অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন মহানগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইসতিয়াক আহম্মেদ ইস্তি, সদস্য সচিব তাজিম বিশ্বাস, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মাসুদ পারভেজ বাবু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হেলাল আহম্মেদ সুমন, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক এবাদুল হক রুবায়েত, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক চৌধুরী হাসানুর রশিদ মিরাজ, নগর শ্রমিক দলের সদস্য সচিব শফিকুল ইসলাম শফি, ২১নং ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক ফরিদ মোল্লাকে আসামি করা হয়েছে।

খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা বলেন, ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির গণসমাবেশ বানচাল করতে বিশেষ অভিযানের নামে রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানি করা হচ্ছে। গ্রেপ্তারে ব্যর্থ হয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, ঢাকায় সমাবেশ অংশ নিলে কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে হুমকি দেয়া হচ্ছে।

মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন বলেন, ৩ দিনে অর্ধশত নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাধ্য হয়ে অনেকে ঢাকায় চলে গিয়েছে। সমাবেশ শেষ করে সবাই খুলনায় ফিরবে।

তিনি বলেন, কেন্দ্র থেকে খুলনার নেতাকর্মীদের ঢাকায় যাওয়ার কোনো নির্দেশনা দেয়নি। দল থেকে ঢাকায় যাওয়ারও কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। তারপরও নেতাকর্মীরা দল বেধে ঢাকায় যাচ্ছেন।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!