স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য বলেছেন, দেশের উন্নয়নে এবং মানব কল্যাণে এখন বিজ্ঞান শিক্ষার বিকল্প নেই। নিজেদের উন্নয়নের সাথে সাথে বৈশ্বিক উন্নয়নে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের জোর দিতে হবে। সরকার এ বিষয়ে পর্যাপ্ত বরাদ্দও রেখেছে।
যশোরে নান্নু চৌধুরী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের মধ্যে এককালিন শিক্ষাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, অর্থবৃত্ত থাকলেও সবাই সামাজিক কাজে সে সম্পদ ব্যয় করতে পারে না। নান্নু চৌধুরী অনেকের থেকেই ব্যতিক্রমী ছিলেন। তাই তার অর্জিত সম্পদ সন্তানদের ভোগ বিলাসে ব্যবহার না করে সমাজের কল্যাণে ব্যয় হচ্ছে। একক প্রচেষ্টায় আমাদের কারও পক্ষেই সমাজের সমস্যাগুলো সমাধান করা সম্ভব না। তবে সামষ্টিক প্রচেষ্টায় বিদ্যমান সমস্যাগুলো এড়ানো সম্ভব। কারণ সমাজের প্রতি আমাদের সকলের কিছুটা দায়বদ্ধতা রয়েছে।
ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট শহীদ আনোয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান। বক্তব্য রাখেন ট্রাস্টের চেয়ারম্যন বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম, বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী গোলাম ফারুক লিটন ও বিশিষ্ট ক্রীড়া ব্যাক্তিত্ব খান মোহাম্মদ শফিক রতন। সভা সঞ্চালনা করেন জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার আলম খান দুলু। উপস্থিত সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হারুন-অর-রশিদ, অ্যাডভোকেট মাহমুদ হাসান বুলু, অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান সাবু, জিল্লুর রহমান, কাজী আবুল বাছেদ বকুল, চৌধুরী মাহমুদ রেজা, নওরোজ আলম খান চপল, তরিকুল ইসলাম তারু, অ্যাডভোকেট হাসমত আলী খোকন, জাকির হোসেন, অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান, শাহানেওয়াজ লেলিন, মনিরুল হুদা খান প্রমুখ।
বাৎসরিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে স্কুল ও কলেজের ৮৬ জন ছাত্র ছাত্রীকে এককালিন দুুই লাখ ৫০ হাজার পাঁচশ’ টাকা বৃত্তি প্রদান করা হয়। এছাড়া নান্নু চৌধুরী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট মেধাবী নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের মাসিক বৃত্তি প্রদান করে। অনন্য মেধাবী শিক্ষার্থীদের অর্থঅভাবে যাতে পড়াশুনা বন্ধ হয়ে না যায়। সেজন্য তাদের উচ্চ শিক্ষা চালিয়ে যাওয়ার জন্য মাসিক বৃত্তি প্রদানের পাশাপাশি বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করে ট্রাস্টটি।