এক যুগেরও বেশি সময়কাল পার করেছে খুলনা মহানগর বিএনপির কমিটি। সম্মেলন বা নতুন কমিটি গঠনের কার্যকর উদ্যোগ নেই। ফলে সংগঠনে এসেছে স্থবিরতা। মহানগর থেকে শুরু করে ওয়ার্ড, থানা ও ইউনিয়নে অভিন্ন চিত্র। হতাশ কর্মীরা এখন অনেকটা রাজনীতিবিমুখ। দীর্ঘদিন যাবৎ হামলা মামলা নির্যাতন সহ্য করেছেন তারা। কিন্তু দলে মূল্যায়ন না পেয়ে হতাশায় নিস্ক্রিয় হয়েছেন আন্দোলন সংগ্রামের ত্যাগী বহু কর্মী।
এ অবস্থায় খুলনা মহানগর বিএনপির একাংশের নেতারা দেখা করলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাথে। জানালেন তাদের ক্ষোভ, বঞ্চনা, অপ্রাপ্তি ও দাবির কথা। বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় ঢাকার উত্তরায় মহাসচিবের বাসভবনে অনুষ্ঠিত হয় এ বৈঠক। খুলনা বিএনপির প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন সিনিয়র সহ সভাপতি আলহাজ সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা ও তরুণ বিএনপি নেতা শফিকুল আলম তুহিন।
এ সময় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গভীর আগ্রহে তাদের বক্তব্য শোনেন ও বিভিন্ন বিষয়ে জানতে চান। তিনি উদ্বুত পরিস্থিতি নিয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাথে আলাপ করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সমস্যার নিরসন করবেন বলে আশ্বাস দেন। এক ইমেইল বার্তায় এমন তথ্য জানানো হয়েছে।
এ সময় খুলনা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নগর বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা আজিজুল হাসান দুলু, নগর বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মুর্শিদ কামাল, নগর বিএনপির সহ প্রচার সম্পাদক ও সাবেক ভিপি কে এম হুমায়ুন কবির, যুবদলের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি ও খুলনা মহানগর সভাপতি মাহবুব হাসান পিয়ারু, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি ও খুলনা জেলা সভাপতি তৈয়েবুর রহমান, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা মহানগর সভাপতি একরামুল হক হেলাল, মহিলা দলে মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ভিপি আজিজা খানম এলিজা, মহানগর বিএনপির যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক শেখ ইমাম হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান রনু, মহানগর যুবদলের সিনিয়র সহ সভাপতি কাজী নেহিবুল হাসান নেহিম, সাবেক ছাত্রদল নেতা নিশাত আহমেদ, আড়ংঘাটা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মতলেবুর রহমান মিতুল, খুলনা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুল মান্নান মিস্ত্রি, মহানগর ছাত্রদলের আহবায়ক ইসতিয়াক হোসেন ইস্তি, সদস্য সচিব মো: তাজিম বিশ্বাস, মহানগর মহিলা দল নেত্রী ও সাবেক ছাত্রদল নেত্রী নাসরিন হক শ্রাবণী প্রমুখ।
খুলনা গেজেট/ এস আই