যশোরের মণিরামপুরে পুত্রবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে শ্বশুর হাফিজুর রহমানকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় মণিরামপুর থানায় মামলা হয়েছে। আটক হাফিজুর রহমান উপজেলার নেহালপুর গ্রামের কালীবাড়ি মেঠোপাড়ার গোলাম আলীর ছেলে।
কেশবপুর উপজেলার মনোহরনগর গ্রামের এক ব্যক্তির দায়ের করা মামলায় বলা হয়েছে, তার মেয়েকে সাত মাস আগে আসামি হাফিজুর রহমানের ছেলে ট্রাকের হেলপার রায়হানের সাথে বিয়ে দেয়া হয়। পেশাগত কাজে রায়হান প্রায়ই বাড়ির বাইরে থাকে। সেই সুযোগে রায়হানের পিতা হাফিজুর রহমানের কুদৃষ্টি পড়ে পুত্রবধূর উপর। তিনি বিভিন্ন সময় কু প্রস্তাব দেয়াসহ ঘরে একা পেয়ে পুত্রবধূকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে হাফিজুর।
সর্বশেষ গত ১৩ এপ্রিল ভোর রাত ৪টার দিকে ঘুম থেকে উঠে সেহরি খাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন ওই গৃহবধূ। এসময় হাফিজুর রহমান ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে দরজা বন্ধ করে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে। তিনি চিৎকার করতে গেলে তাকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়। পাশাপাশি বিষয়টি কাউকে জানানো হলেও তাকে খুন করার হুমকি দেয়া হয়েছে। খবর পেয়ে পরদিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে হাফিজুর রহমানের বাড়ি থেকে মেয়েটিকে তার পিতামাতা উদ্ধার করে মণিরামপুর থানায় নিয়ে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে নেহালপুর কালীবাড়ি ইসলামপুর মোড় থেকে হাফিজুর রহমানকে আটক করে। এরপর তাকে যশোর জুডিসিয়াল মস্যাজিক্রেট আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।