খুলনা, বাংলাদেশ | ২২ বৈশাখ, ১৪৩১ | ৫ মে, ২০২৪

Breaking News

  আজ খুলছে সব স্কুল-কলেজ
  রাতভর জ্বলছে সুন্দরবন, দেড় কি.মি. এলাকাজুড়ে আগুন

মণিরামপুরে পাগলা কুকুরের কামড়ে মারা যাচ্ছে গৃহপালিত পশু, ভয়ে শিশুরা

মণিরামপুর প্রতিনিধি

যশোরের মণিরামপুরে ক্রমাগতভাবে জন্ম নেয়া দলবদ্ধ পাগলা কুকুরদের টার্গেট এখন গৃহপালিত ছাগল ও হাঁস-মুরগী। প্রতিদিন খবর পাওয়া যাচ্ছে উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলসহ পৌর এলাকায় পাগলা কুকুরের কামড়ে মারা যাওয়াসহ রক্তাক্ত ক্ষত হচ্ছে ছাগল ও হাঁস-মুরগীর বাচ্চা।

এদিকে, দলবদ্ধ কুকুরের গৃহপালিত পশুর উপর এমন আক্রমণ দেখে শিশু-কিশোররা চরম ভীতির মধ্যে ঘর থেকে বের হতে সাহস পাচ্ছেনা।  মানুষের দেখে-শুনে চলাচলের শক্তি থাকার কারণে কুকুররা তেমন আক্রমণ করতে পারেনা। তারপরেও যেখানে সেখানে কুকুর দেখলে মানুষ সাবধানতার মধ্যে চলাচল করে থাকে। কিন্তু পশুরা যখন কুকুরের আক্রমণের শিকার হয়, তখন গৃহপালিত পশু কিভাবে রক্ষা পাবে।

পাগলা কুকুরের আক্রমণ সম্পর্কে উপজেলার হাসাডাঙ্গা গ্রামের গৃহবধূ নাসিমা বেগম জানান, প্রায় সন্তানের মত মায়া জড়ানো তার ৬টি ছাগল ছিল। কয়েকদিন আগে বাড়ির পাশে বেঁধে রাখা তার ছাগলগুলির মধ্যে ৩টি একদল কুকুরের কামড়ে ছিন্ন-ভিন্ন হয়ে দু’টি মারা যায়।

একই এলাকার আছিয়া খাতুন বলেন, অনেক কষ্টে লালন-পালন করা তার দু’টি খাশির বাচ্চা কুকুরের দল আক্রমণ চালিয়ে ছিড়ে-ভুড়ে খেয়ে ফেলেছে।

পৌর এলাকার মোহনপুর গ্রামে খাদিজা বেগম জানান, তিন মাসের ব্যবধানে কুকুরের পাল তার ১৭টি মুরগী ও ৯টি হাঁস কামড়ে শেষ করে দিয়েছে। পৌর শহরের তাহেরপুর মাষ্টারপাড়ার মৃত আমীন কওসারের স্ত্রী জানান, ছাগল ও গরু পুষে তার ছেলে-মেয়ের সংসার চলে। কয়েকদিন আগে কুকুরের দল তার ১টি ছাগল কামড়ে রক্তাক্ত করেছে।

এ ব্যাপারে সচেতন মহলের ভাষ্য একদিকে, কুকুরের খাদ্যের অভাব আর সরকারীভাবে কুকুর নিয়ন্ত্রণে সঠিক সময় ব্যবস্থা গ্রহণ না কারার কারণে কুকুরের দল বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। অনেকে মন্তব্য করে বলেন, যেখানে মশা নিয়ন্ত্রণে উল্লেখযোগ্য ব্যবস্থা নেই, সেখানে পাগলা কুকুর নিয়ন্ত্রণ হবে কিভাবে।

কুকুরের বেপরোয়া আক্রমণ সম্পর্কে জানতে চাইলে মণিরামপুর পৌর মেয়র কাজী মাহমুদুল হাসান বলেন, কুকুর মেরে ফেলা সরকারীভাবে নিষিদ্ধ রয়েছে। তবে, কুকুর নিয়ন্ত্রণ করতে এক ধরনের ইনজেকশন প্রয়োগ করার বিধান রয়েছে। কুকুর নিয়ন্ত্রণে অতিদ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

খুলনা গেজেট/কেএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!