যশোরের মণিরামপুরে জোড়া হত্যা মামলায় এক আসামির মৃত্যুদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি সিরাজুল ইসলাম উপজেলার বাটবিলা গ্রামের মোমিন সরদারের ছেলে। বৃহস্পতিবার অতিরিক্ত দায়রা জজ মোস্তফা কামাল এ আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের অতিরিক্ত পিপি বিমল কুমার রায়।
আদালত একই মামলায় তিনজনকে খালাস দেন। তারা হলেন, দণ্ডপ্রাপ্ত সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী শিরিনা বেগম, একই গ্রামের আমিন সরদারের স্ত্রী করিমন নেছা ও মোমিন সরদারের স্ত্রী আরফা খাতুন ওরফে আরিফা।
২০১২ সালের ২৯ জানুয়ারি আসামি সিরাজুল ইসলাম একই গ্রামের জমির সরদারের মেয়ে শারমিন ও ভাইপো কবীর হোসেনকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, মণিরামপুর উপজেলার বাটবিলা মৌজার ৩৯৫ নম্বর দাগের ছয় বিঘা জমি নিয়ে স্থানীয় জমির সরদারের সাথে আসামি সিরাজুলের বিরোধ চলছিলো। সেই বিরোধের জের হিসেবে ২০১২ সালের ২৯ জানুয়ারি সিরাজুলসহ অন্যরা একত্রিত হয়ে ওই জমিতে বেড়া দিতে থাকে। এসময় জমির সরদার ও তার পরিবারের সদস্যরা সিরাজুলদের বাধা দেয়। পরে সিরাজুল তাদের নানা হুমকি দিয়ে চলে যায়।
এর কিছু সময় পর গাঁছি দা নিয়ে সিরাজুল এসে জমির সরদার ও তার স্ত্রী রাশিদা বেগমকে ধাওয়া করে। এসময় জমির ও তার স্ত্রী দৌড়ে পালিয়ে যায়। এক পর্যায়ে সিরাজুল জমিরের ১৪ বছর বয়সি মেয়ে শারমিন ও ১১ বছর বয়সি ভাইপো কবীর হোসেনকে ধাওয়া করে। তিনি প্রথমে শারমিনকে ও পরে তার ভাইপো কবীরকে ধরে কুপিয়ে হত্যা নিশ্চিত করে পালিয়ে যান। পরে এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে আসামি সিরাজুলের বাড়িতে গিয়ে সিরাজুলকে খুঁজে না পেয়ে ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় জমির সরদার বাদী হয়ে সিরাজুলসহ ছয়জনকে আসামি করে মণিরামপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এরপর মণিরামপুর থানার এসআই জামিরুল ইসলাম মামলাটি তদন্ত করে চারজনকে অভিযুক্ত করে ২০১২ সালের ৮ অক্টোবর আদালতে চার্জশিট জমা দেন। ওই এলাকার আমিন সরদার ও মোমিন সরদারকে চার্জশিটে অব্যাহতির আবেদন করা হয়। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার এ মামলার রায় ঘোষণা করে আদালত। রায়ে আসামি সিরাজুল ইসলামকে ফাঁসির আদেশ ও বাকি তিনজনকে খালাস প্রদান করা হয়।
খুলনা গেজেট/কেএ