যশোরের মণিরামপুরে পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়াই হাজার-হাজার মণ কাঠ পুড়িয়ে কয়লা বানানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বাণিজ্যিক ভিত্তিতে বিশেষ কায়দায় তৈরীকৃত পাঁজায় পোড়ানো হচ্ছে এ কাঠ। কাঠ পুড়িয়ে বানানো কয়লা চড়া দামে বিক্রি করা হচ্ছে। ঢাকাসহ বড় শহরের নামিদামি হোটেল রেস্তোরাসহ বিভিন্ন স্থানে চলে যাচ্ছে এই কয়লা।
বুধবার (৯ জুন) সরেজমিন গেলে দেখা যায়, উপজেলার কাশিমনগর ইউনিয়নের কুলিপাশা গ্রামে রাস্তার ধারে বিশেষ ব্যবস্থায় তৈরী ৫টি পাঁজা থেকে ধোঁয়া উঠছে। ইব্রাহিম হোসেন নামের পাঁজা শ্রমিক জানায়, কাঠ পুড়িয়ে বানানো কয়লা বস্তা ভর্তি করে ঢাকাসহ বড় বড় শহরে পাঠনো হয়। স্থানীয় বিষু নামের জনৈক ব্যক্তির ১৭ কাঠা জমি লীজ নিয়ে ঢাকার আমিন বাজারের আমির হোসেন বাদশা এবং স্থানীয় শাহিন নামে দু’জন অংশিদার ভিত্তিতে কাঠ পুড়িয়ে কয়লা উৎপাদন করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
পাঁজা মালিক আমির হোসেন বাদশা জানান, প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকায় তৈরীকৃত প্রতি পাঁজায় মাসে দু’বার কয়লা উৎপাদিত হয়। এজন্য প্রতি পাঁজায় ২’শ ৫০ মণ থেকে ৩’শ মণ কাঠ পোড়ানো হয়ে থাকে। প্রতি বস্তা কয়লা ৬শ’ থেকে ৬’শ ৫০ টাকা দরে বিক্রি করা হয়।
জানতে চাইলে, অপর পাঁজা মালিক শাহিন দাবি করেন, এটি পরিবেশের কোন ক্ষতি হচ্ছে না। যে ধোয়া বের হচ্ছে সেটি কাঠের পানি বাষ্প হয়ে উড়ে যাচ্ছে। তবে, কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরীকারী অন্যান্য পাঁজা মালিকরা স্বীকার করেন এটি করতে পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতিপত্র নেয়া হয়নি।
এ ব্যাপারে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডক্টর মাহফুজুর রহমান বলেন, যে কোন ধরনের ধোঁয়ায় মানুষের স্বাস্থ্যহানি ঘটতে পারে। এছাড়া, গাছ তথা কাঠ পোড়ানোর ধোঁয়ার সাথে ছাই আশে-পাশের ফসলের ক্ষতি-সাধন হতে পারে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জিএম আহাদ আলী জানান, বিষয়টি জানতে পেরে পাঁজা মালিক ও জমি মালিককে ইউনিয়ন পরিষদে ডাকা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/ এস আই