যশোরের শার্শা উপজেলার মাটিকুমড়া গ্রামের গৃহবধূর ভ্রুন হত্যার অভিযোগে স্বামীসহ পাঁচ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা হয়েছে। সোমবার উপজেলার ছোট নিজামপুর গ্রামের মৃত জহির উদ্দিনের মেয়ে মেহেরজান খাতুন বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মঞ্জুরুল ইসলাম অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার আদেশ দিয়েছেন শার্শার থানার ওসিকে।
মামলার আসামিরা হলো, উপজেলার মাটি কুমড়া গ্রামের মৃত জহর আলীর ছেলে ও মেহের জানের স্বামী সেহেল রানা, শ্বশুড়ি মমতাজ বেগম, আলমগীর হোসেনের স্ত্রী আন্না খাতুন পুতুল, মারুফ হোসেনের স্ত্রী তাসলিমা খাতুন ও গিলেপোল গ্রামের সিদ্দিকের ছেলে সাসুম।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ৪ জানুয়ারি আসামি সোহেল রানার সাথে মেহেরজানের বিয়ে হয়। এক মাস যেতে না যেতে অপর আসামিদের প্রোরোচণায় আসামি সোহেল রানা তার স্ত্রীর কাছে দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে নির্যাতন শুরু করে। এরমধ্যে মেহেরজান অন্ত:সত্তা হয়ে পড়ে। বিষয়টি জানতে পেরে আসামি গর্ভের সন্তান নষ্ট করার ষড়যন্ত্র করতে থাকে। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি মেহেরজান শার্শার বুরুজবাগান প্রাইভেট জেনারেল হাসপাতাল থেকে প্রেগনেন্সি টেস্ট করে পজিটিভ রিপোর্ট পান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আসামিরা তার গর্ভের সন্তান নষ্ট করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। গত ১ মার্চ আসামিরা সন্তান নষ্ট করার জন্য তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। মেহেরজান সন্তান নষ্ট করার জন্য হাসপাতালে যেতে রাজি না হওয়ায় আসামিরা তাকে মারপিট করে মাটিতে ফেলে পেটে আঘাত করে। এতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন মেহেরজান। এ সংবাদ পেয়ে বাড়ির লোকজন এসে তাকে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা করে গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়ে গেছে বলে রিপোর্ট দেন। এরই প্রেক্ষিতে তিনি সুস্থ হয়ে এদিন মামলা দায়ের করেছেন।
খুলনা গেজেট/এএ