দেশের দ্বিতীয় সমুদ্রবন্দর মোংলাকে ভুটানের ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে ট্রাফিক ইন ট্রানজিট প্রটোকল এর মাধ্যমে দেশটি এ সুযোগ পাচ্ছে। গত ১৩ মার্চ মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
২০২১ সালের জুন মাসে বাংলাদেশ-ভুটান যৌথ কমিটির সভায় মোংলা বন্দরকে পোর্ট অব কল হিসেবে ভুটানকে অনুমতি দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়। একটি সূত্র উল্লেখ করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৭ সালের ১৮ এপ্রিল ভুটান সফরকালে দু’দেশের পণ্য পরিবহন ও ট্রানজিট সম্পর্কে এমওইউ স্বাক্ষর হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র উল্লেখ করেন, ভুটানের সাথে বাংলাদেশের সরাসরি নৌপথ নেই। ভুটান থেকে সীমিত পণ্য ভারত হয়ে নৌপথে বাংলাদেশে আমদানি হয়। ভুটান ও বাংলাদেশের মধ্যকার দুটি নৌপথ রয়েছে। দুটি নৌপথের শেষ প্রান্ত ভারতের মধ্যে পড়েছে। ভুটানের সাথে সরাসরি নৌপথ না থাকায় ভারত থেকে সড়ক পথে পণ্য ভুটানে পরিবহন করা হয়। নৌরুট দুটোর প্রথমটি হচ্ছে চট্রগ্রাম, চাঁদপুর, মাওয়া, আরিচা, সিরাজগঞ্জ, চিলমারী, দেখাওয়া হয়ে ভারতের ধুবরী। অপরটি হচ্ছে মোংলা, কাউখালী, বরিশাল, চাঁদপুর, মাওয়া, আরিচা, সিরাজগঞ্জ, চিলমারী ও দেখাওয়া হয়ে ভারতের ধুবরী।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন মোহাম্মাদ শাহীন মজিদ বলেন, ভুটানকে বন্দর ব্যবহারের অনুমতিতে আমাদের কার্যক্রম আরও বেগবান হবে। আমাদের সবকিছু প্রস্তুত রয়েছে।
মোংলা বন্দরের সচিব কালাচাঁদ সিংহ বলেন, কবে নাগাদ ভুটান বন্দর ব্যবহার করবে এ ব্যাপারে নির্দিষ্ট কোন সময়সূচি চূড়ান্ত হয়নি।
মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের সচিব মাহবু্ব হোসেন গত সোমবার মন্ত্রিসভাকে অবহিত করেন বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবে।