হাংজুর আকাশে আজ (রোববার) রোদ হাসছে। সূর্যের এমন হাস্যোজ্জ্বল দিনে মাঠে হাসতে পারেননি নিগার সুলতানা জ্যোতিরা। জিজিয়াং প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে এশিয়ান গেমস নারী ক্রিকেটের সেমিফাইনালে বাংলাদেশ ভারতের বিপক্ষে ৮ উইকেটে হেরেছে। কাগজে-কলমে ৮ উইকেটের হার হলেও, বাস্তবিক অর্থে নাস্তানাবুদই হয়েছে জ্যোতির দল।
এশিয়ান গেমস উদ্বোধনের পরের সকালটাই বেশ বিবর্ণ বাংলাদেশের। ২০১০ ও ২০১৪ এশিয়ান গেমসে নারী ক্রিকেট দল রৌপ্য জিতেছিল। এবার এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশ নারী দল আগের রেকর্ড ধরে রাখতে পারেনি। ভারতের বিপক্ষে সেমিফাইনালে হেরে আগামীকাল (সোমবার) সকালে ব্রোঞ্জের লড়াইয়ে নামতে হবে জ্যোতিদের। প্রতিপক্ষ দ্বিতীয় সেমিফাইনালে বিজয়ী পাকিস্তান অথবা শ্রীলঙ্কা।
গত দুই দিন বৃষ্টিভেজা মাঠে আজ সকালে টসে জিতে ব্যাটিং নিয়েছিল বাংলাদেশ। শুরুতেই তারা ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। একের পর এক উইকেট পড়তে থাকে নিয়মিত বিরতিতে। ফলে ১৭ ওভারে ৫১ রানেই অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। তাদের হয়ে অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি সর্বোচ্চ ১২ রান করেন। আর কেউই দুই অঙ্কের কোটায় যেতে পারেননি।
জ্যোতির ইনিংসও বেশি বড় হয়নি রান আউটে। ব্যাটিং বিপর্যয়ের মধ্যে বাংলাদেশ দুই উইকেট হারিয়েছে রান-আউটে। বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে বড় ধস নামিয়েছেন ভারতের পূজা ভাস্ত্রাকার। তিনি একাই ১৭ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন।
বৃষ্টিতে কাভারের নিচে থাকা উইকেটে বাংলাদেশের বোলাররাও কিছুটা চমক দেবে এমন প্রত্যাশা ছিল। তবে সেরকম কিছু হয়নি। ভারতের ব্যাটসম্যানরা স্বাভাবিক ছন্দেই ব্যাটিং করে ম্যাচ জিতেছেন। কোনো বেগ পেতে হয়নি তাদের। জেমিমা রদ্রিগেজ সর্বোচ্চ ২০ এবং শেফালি ভার্মা ১৭ রান করেন। ফলে আট ওভারে মধ্যেই রান তাড়ায় সফল হয়েছে ভারত। বাংলাদেশের ফাহিমা ও মারুফা একটি করে উইকেট নিয়ে সান্ত্বনা পেয়েছেন।
বাংলাদেশ-ভারতের মুখোমুখি দেখায় দু’দল মিলিয়ে টি-টোয়েন্টিতে এটি সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড। পুরো ম্যাচে রান হয়েছে মাত্র ১০৩। এর আগে ফরম্যাটটিতে ২০১৪ সালে দুই দলের ম্যাচে সর্বনিম্ন উঠেছিল ১৩১ রান। কক্সবাজার স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে বাংলাদেশ আগে ব্যাট করে ৬৫ রানে অলআউট হয়ে যায়। পরে ভারত সেই ম্যাচ আজকের মতোই ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে জিতে।
খুলনা গেজেট/এনএম