খেলা শুরুর পাঁচ মিনিট না যেতেই মাঠে হাজির পুলিশ। সাও পাওলোতে অনুষ্ঠিত ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ম্যাচে রোববার রাতে ঘটেছে এমনই ঘটনা। ইংল্যান্ড থেকে আসা চার আর্জেন্টাইন ফুটবলার নিজেদের ভ্রমণের বিষয়ে মিথ্যা বলেছিলেন ব্রাজিলের ইমিগ্রেশনকে। তাদের ধরতেই মাঠে হাজির হয় পুলিশ।
এরপর দ্রুতই মাঠ ছাড়েন আর্জেন্টিনার ফুটবলাররা। অধিনায়ক লিওনেল মেসি ম্যাচের জার্সি খুলে আবার মাঠে ফিরলেও আসেননি আর কোনো ফুটবলার। ওই ঘটনার এক ঘণ্টা পর পর্যন্ত মাঠেই ছিলেন তারা। ঘণ্টা চারেকের মধ্যেই নিজেদের ভাড়া করা বিমানে নিজেদের দেশের উদ্দেশ্যে ব্রাজিল ছেড়েছেন আলবিসেলেস্তে ফুটবলাররা।
ব্রাজিলের সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে, আর কিছুক্ষণ থাকলেই আটক হতেন চার আর্জেন্টাইন ফুটবলার এমিলিয়ানো বুয়েন্দিয়া, এমিলিয়ানো মার্টিনেজ, জিওভানি লো চেলসো ও ক্রিশ্চিয়ান রোমেরো। ইংল্যান্ড থেকে ভেনেজুয়েলায় জাতীয় দলের ক্যাম্পে যোগ দিয়েছিলেন তারা। খেলেছিলেন বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ম্যাচও। এরপর আসেন ব্রাজিলে।
কিন্তু ব্রাজিলের ইমিগ্রেশন কতৃপক্ষের কাছে ভেনেজুয়েলায় ভ্রমণের কথা বললেও আগে যে ইংল্যান্ডে ছিলেন, সেটি জানাননি আর্জেন্টিনার চার ফুটবলার। এই অভিযোগেই মূলত তাদের আটক করতো ব্রাজিল পুলিশ। হোটেলে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়েছিল তারা, কিন্তু ততক্ষণে মাঠে চলে আসায় আর সম্ভব হয়নি সেটি।
ব্রাজিলের টেলিভিশন চ্যানেল রেডে গ্লোভেকে ব্রাজিলিয়ান হেলথ রেগুলেটরি এজেন্সির প্রধান বাররা তোরেস বলছেন, ‘আমাদের স্বাস্থ্য প্রটোকলটা ধরে রাখা জরুরি বিষয়। আমরা ফেডারেল পুলিশকে বলেছি এরপর হোটেলে গিয়েছি। গিয়ে দেখি তারা আগেই স্টেডিয়ামের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে গেছে। বাকি যা কিছু হয়েছে, সবকিছু সবাই সরাসরি দেখেছেন।’