খুলনা, বাংলাদেশ | ২৯ পৌষ, ১৪৩১ | ১৩ জানুয়ারি, ২০২৫

Breaking News

  প্রণয় ভার্মাকে ডাকার পরদিনই, দিল্লিতে বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনারকে তলব
  জুলাই-আগস্টে গণহত্যা : প্রসিকিউশনের হাতে শেখ হাসিনাসহ জড়িতদের গুরুত্বপূর্ণ কল রেকর্ড

ব্যাটিং ব্যর্থতা, ইংল্যান্ডকে ২১০ রানের টার্গেট দিল বাংলাদেশ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

প্রথম ওয়ানডেতে ভালো ব্যাটিং প্রদর্শনী দেখাতে পারলেন না বাংলাদেশের ব্যাটাররা। ব্যাটিং বিপর্যয়ে থ্রি লায়ন্সদের বিপক্ষে ৪৭.২ ওভারে ২০৯ রানেই গুটিয়ে যায় স্বাগতিক বাংলাদেশ।

টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে তামিম-লিটনে ইতিবাচক শুরু ছিল বাংলাদেশের। যদিও প্রথম ওভারেই তামিমকে হারাতে পারত বাংলাদেশ। ক্রিস ওকসের নিজের বলে নিজে ক্যাচ নিতে পারায় সেই যাত্রায় বেঁচে যান তামিম। তখন ২ রানে খেলছিলেন তামিম। তামিম একপ্রান্তে রানের চাকা ঘুরালেও নিস্তেজ ছিল লিটনের ব্যাট। ছক্কা মেরে ভালো শুরুর আভাস দিলেও পরের বলেই ওকসের ফাঁদে পড়ে এলবির শিকার হন লিটন (৭)। রিভিউ নিয়েও টিকতে পারেননি। দলীয় ৩৩ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

শান্তও ফিরতে পারতেন দ্রুত। জোফ্রা আর্চারের বলে জেসন রয় ক্যাচ লুফে নিতে না পারায় বেঁচে যান শান্ত। দলীয় ৫১ রানে মার্ক উডের গতির কাছে পরাস্ত হন তামিম ইকবাল। এই গতির জবাব ছিল না তামিমের কাছে। হুট করে লাফিয়ে ওঠা বল সামলাতে ব্যর্থ হয়েছেন তামিম, ব্যাট-হাতে লাগার পর হলেন বোল্ড। তামিম ফেরেন ৩২ বলে ২৩ রান করে।

তামিমের বিদায়ের পর শান্তকে নিয়ে বাংলাদেশের ইনিংসকে টানছিলেন মুশফিকুর রহিম। তবে তিনিও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। প্রিয় শট ‘স্লগ সুইপ’ খেলে উইকেট বিলিয়ে দিয়েছেন তিনি। এই শট খেলেই মুশফিক রান করেছেন প্রচুর, আবার উইকেটও হারিয়েছেন অনেক। যেটা নিয়ে সমালোচনার তীরেও বিদ্ধ হয়েছেন বাংলাদেশের মিস্টার ডিপেন্ডেবল। তবুও প্রিয় শট খেলতে বিন্দুমাত্র ছাড় দিতে রাজি নন মুশফিক। আদিল রশিদের সেই স্লগ সুইপেই উড়িয়ে মারতে গিয়ে উডের তালুবন্দী হন মুশফিক। ৩৪ বল খেলে ১৭ রান করেন তিনি।

মুশফিক আউট হওয়ার পর দ্রুতই ফেরেন সাকিব। ১১ রানের ব্যবধানে বাংলাদেশ হারায় ভরসার দুই ব্যাটারকে। দলীয় ১০৬ রানের মাথায় মঈন আলীর বল খেলতে গিয়ে বোল্ড হন সাকিব। ১২ বলে ১ চারে ৮ রান আসে তার ব্যাট থেকে।

সাকিব-মুশফিককে হারানোর ধাক্কা সামলিয়ে বাংলাদেশকে টেনে তুলছিলেন মাহমুদউল্লাহ ও শান্ত। ৬৭ বলে শান্ত দেখা পান ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি। তার ফিফটির ইনিংস সাজানো ছিল ৫টি চারে। দুজনের পথচলায় হয়েছে জুটির পঞ্চাশও। তবে ফিফটি ছুঁয়ে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি শান্তও। ব্যক্তিগত ৫৮ রান করে রশিদের গুগলির শিকার হয়েছেন শান্ত। এরপর মাহমুদউল্লাহ বেশিদূর যেতে পারেননি। তার ইনিংস থেমে যায় ৩১ রানেই। উডের বলে বাটলারের ক্যাচ হয়ে ফেরেন তিনি।

বর্তমান বাংলাদেশ দলে বেশ সম্ভাবনাময় একজন আফিফ হোসেন। দলের বিপদে তিনিও প্রতিরোধ গড়তে পারলেন না। অভিষিক্ত উইল জ্যাকসের বলে সুইপ করতে গিয়ে ধরা পড়েন রশিদের হাতে।আফিফ ১২ বলে ৯ রান করেন।

৭ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ ধুঁকছিল তখন। দরকার ছিল আরেকটি জুটির। কিন্তু বাকিদের মত টিকতে পারলেন না মিরাজও। আর্চারের বলে উইকেটের পেছনে সহজ ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন তিনি। ১৯ বলে ৭ রান করেন মিরাজ।

বাংলাদেশের ব্যাটিং ব্যর্থতায় শঙ্কা জেগেছিল দলীয় রান দুইশ ছোঁয়া নিয়ে। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশকে ওই সীমানায় পৌঁছে দিলেন তাসকিন আহমেদ ও তাইজুল ইসলাম। ৪৬তম ওভারে এসে দুইশ স্পর্শ করল স্বাগতিকদের রান।

খুলনা গেজেট/এমএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!