পণ্যবাহী মাছের ট্রাকে স্বর্ণ পাচারের ঘটনায় ভারতীয় সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ এসোসিয়েশনের সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে আধুনিক স্ক্যানার স্থাপনের দাবিতে ভারতের বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন সংগঠনের ডাকে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরের মধ্যে রোববার থেকে বন্ধ রয়েছে রপ্তানি বাণিজ্য। ফলে বেনাপোল বন্দর এলাকায় আটকা পড়েছে শত শত পণ্যবাহি ট্রাক।
তবে ভারত থেকে বাংলাদেশে পণ্য আমদানি রয়েছে স্বাভাবিক। রপ্তানি বন্ধের ফলে বন্দর এলাকাসহ আশেপাশের দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তীব্র যান ও পণ্যজটের সৃষ্টি হয়েছে। দুর্ভোগ বাড়ছে শ্রমিকদের। বাড়ছে ডেমারেজের অংক। পণ্য আমদানিতেও প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হচ্ছে।
বেনাপোল সিএন্ডএফ ষ্টাফ এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, ১৮ মার্চ সাতক্ষীরার মোস্তফা অর্গানিক নামক একটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ৩ টন তেলাপিয়া মাছ বাংলাদেশ থেকে ভারতে রপ্তানি করে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পণ্যবাহি ওই ট্রাক থেকে ৪০টি স্বর্ণের বার জব্দ করে ভারতীয় বিএসএফ। এ ঘটনায় বাংলাদেশি ট্রাক চালক সুশঙ্কর দাস ও ভারতীয় সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ সদস্য লাল্টুর বিরুদ্ধে মামলা দেয় বিএসএফ। তাদের গ্রেপ্তার করে পেট্রাপোল থানা পুলিশ। মামলা থেকে মুক্তিসহ পেট্রাপোল বন্দরের প্রবেশমুখে ২টি স্ক্যানার মেশিন স্থাপনের দাবিতে কর্মবিরতির ডাক দেন ভারতীয় বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন সংগঠন। এতে বন্ধ হয়ে যায় দুই দেশের মধ্যে রপ্তানি বাণিজ্য। তবে আমদানি প্রক্রিয়া রয়েছে স্বাভাবিক। বেনাপোল বন্দর ও কাষ্টমেসে কাজ চলছে স্বাভাবিক ভাবে।
বেনাপোল বন্দর পরিচালক আব্দুল জলিল জানান, ভারতে শ্রমিকদের কর্মবিরতিতে রফতানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। তবে আমদানি প্রক্রিয়া রয়েছে স্বাভাবিক। বিষয়টি ভারতীয় কর্তৃপক্ষের বলে জানান বন্দর ও কাষ্টমস সংশ্লিষ্টরা।
খুলনা গেজেট/ এসজেড