যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বোমাবাজি মামলায় আটক সম্রাট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। সম্রাট বেনাপোলের রঘুনাথপুর গ্রামের বিল্লাল হোসেনের ছেলে।
বেনাপোল বন্দরের দখলদারিত্ব বজায় রাখার উদ্দেশ্যে কাউন্সিলর রাশেদ আলীর নেতৃত্বে সীমান্ত, মাহাতাব উদ্দিন, শরিফুলসহ এজাহারনামীয় ৩৬ জনসহ আরও অনেকে বোমা হামলা ও ভাংচুর চালিয়েছিল বলে জবানবন্দিতে উল্লেখ করেন সম্রাট। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক পলাশ কুমার দালাল আসামির এ জবানবন্দি গ্রহণ শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
জবানবন্দিতে সম্রাট জানিয়েছে, বেনাপোল স্থলবন্দরের হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে রাশেদ গ্রুপের সাথে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছিল। দিনদিন রাশেদের আধিপত্য কমে যাচ্ছে। ফলে রাশেদের নেতৃত্বে বন্দরের অবস্থান ধরে রাখতে পরিকল্পনা করে হামলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। গত ২৮ মার্চ পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী রাশেদ আলীর নেতৃত্বে মামলার এজাহারভুক্ত সকলে বোমা হামলা ও ভাংচুর চালায়। এ সময় মুহুর্মূহু বোমা হামলা চালানো হয়। বোমায় প্রতিপক্ষের শ্রমিকরা পিছু হটতে বাধ্য হয়। এক পর্যায়ে পুলিশ ধাওয়া করলে রাশেদ ও তার লোকজন বন্দরের বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা চালিয়ে পিছু হটে যায়। এ ঘটনার সাথে এজাহারনামীয় আসামিসহ রাশেদ গ্রুপের নাম না জানা আরও অনেকে জড়িত বলে জানিয়েছে সম্রাট।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮ মার্চ সকালে কাউন্সিলর রাশেদ আলীর নেতৃত্বে বন্দরের বিভিন্ন জায়গায় বোমা হামলা চালানো হয়। এরপর রাশেদ আলী ৫০/৬০ জন নিয়ে বন্দরের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করে। শ্রমিকরা বাধা দিলে রাশেদ, সম্রাট, মিকাইল, শাহীন বোমা হামলা করে তাদের প্রতিহত করার চেষ্টা করে। এ সময় বোমায় জুলফিকার আলী, শওকত আলী, কামরুল ইসলাম, আজিজুল ইসলাম, আব্দুল আলিম, লিটু বাবু, লিয়াকত হোসেন, সোহরাব হোসেন, আব্দুস সামাদ, আলী হোসেন, নয়ন হোসেন গুরুতর আহত হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
এ ব্যাপারে বেনাপোল শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রাজু আহম্মেদ বাদী হয়ে কউন্সিলর রাশেদসহ ৩৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২০/২৬ জনকে আসামি করে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রোকনুজ্জামান মামলার অন্যতম আসামি সম্রাটকে আটক করে শনিবার আদালতে সোপর্দ করেন। সম্রাট ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে এ জবানবন্দি দিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রোকনুজ্জামান।
খুলনা গেজেট/কেএ