খুলনা, বাংলাদেশ | ২রা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৬ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠকের পর রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন হয়েছে : ড. মঈন খান
  শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামালের বিরুদ্ধে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ
  কক্সবাজারের রামুতে বাস-কাভার্ডভ্যানের সংঘর্ষে নিহত ৩, আহত ১০

বেনাপোলে দু’পরিবারের গোলযোগ ঠেকাতে গিয়ে প্রাণ গেলো প্রতিবেশির

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর

যশোরের বেনাপোল পোড়াবাড়ি নারায়নপুর গ্রামে শুক্রবার বিকেলে বিনয় বিশ্বাস ও মনি ঠাকুরের পরিবারের গোলযোগ ঠেকাতে শশি ভূষন বিশ্বাস (৭০) নামে এক প্রতিবেশি নিহত হয়েছেন। দু’পক্ষের ধাক্কাধাক্কিতে তিনি নিহত হন। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিনয় বিশ্বাসসহ ছয়জনকে থানা হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।

গ্রামবাসী জানায়, বিকেল ৩টার দিকে বিনয় বিশ্বাস ও মনি ঠাকুরের পরিবারের মাঝে বাড়ির সামনের মাটি কাটাকে কেন্দ্র করে গোলযোগের সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। এসময় বিনয় বিশ্বাসের ছেলে শুভঙ্কর বিশ্বাস ও আব্বাসের ছেলে বাবু পাইপ দিয়ে মনি ঠাকুর ও তার স্ত্রী মামনি ঠাকুরকে পেটাতে থাকে। তাদের মারামারি মিমাংসা করার জন্য আশপাশ থেকে প্রতিবেশিরা ছুটে যান। মনি ঠাকুর ও তার স্ত্রী মামনি ঠাকুরকে হামলাকারীদের হাত থেকে বাঁচাতে ছুটে যান শশি ভুষন বিশ্বাস। এ সময় উভয়ের ধাক্কা ধাক্কিতে তিনি মাটিতে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন। এসময় প্রতিবেশিরা তাকে উদ্ধার করে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

বিনয় বিশ্বাস বলেন, মনি ঠাকুর তার বাড়ির পাশ থেকে মাটি কাটছিলেন। নিষেধ করায় মনি ঠাকুর ও তার স্ত্রী ঝগড়া বাধায়। এক পর্যায়ে আমাদের দু’পরিবারের মধ্যে মারামারি বেধে যায়। এসময় শশি ভুষন বিশ্বাস মারামারির মধ্যে এসে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাকে কেউ কোনভাবে আঘাত করেনি।

বেনাপোল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বজলুর রহমান জানান, ওই দুটি পরিবারের ঝামেলা দীর্ঘদিনের। প্রায়ই দু’পরিবারের মধ্যে কলহ বাধতো। শুক্রবার বিকেলে ফের কলহ শুরু হলে প্রতিবেশিরা ছুটে যান মিমাংসার জন্য। শশি ভুষনও সেখানে যান। ধাক্কা ধাক্কিতে তিনি মাটিতে পড়ে গেলে হার্ট অ্যাটাক করে মারা যেতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ, এর আগে তার দুবার তার হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল।

বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি কামাল হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত কীভাবে মারা গেছেন সেটা বলা সম্ভব হচ্ছে না। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিনয় বিশ্বাস ও তার ছেলে সুভঙ্কর বিশ্বাস, আব্বাস ও তার ছেলে বাবু, মনি ঠাকুর ও তার স্ত্রী মামনি ঠাকুরকে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!