খুলনা, বাংলাদেশ | ১৩ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

Breaking News

  চুয়েটে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু
  বন্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনায় আজ জরুরী সিন্ডিকেট সভা আহ্বান

‘বীরনিবাস’ পেলেন সাতক্ষীরার ১১৬ টি অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা পরিবার

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা

সারা দেশের ন্যায় সাতক্ষীরায়ও অস্বচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসন নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় বীর নিবাস হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় গণভবণ থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বীর নিবাস হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সদর উপজেলা পরিষদ হলরুমে বীর নিবাস হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ আসাদুজ্জামান বাবু, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফতেমা তুজ-জোহরা, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কোহিনুর ইসলাম, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইয়ারুল ইসলাম, উপজেলা কৃষি অফিসার মনির হোসেন সহ বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের সদস্যগণ।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, অস্বচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসন নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় সাতক্ষীরা জেলার ২৯১ টি অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ‘বীর নিবাস’ পাবেন। এর মধ্যে বুধবার ১১৬টি ঘর প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালী উদ্বোধন করেছেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একই সাথে প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালী কিশোরগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, গাজীপুর, মাদারীপুর ও নড়াইল জেলার সাথে যুক্ত হয়ে বীরনিবাসের চাবি হস্তান্তর করেন ।

সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেমা তুজ জোহরা জানান, সদর উপজেলায় ৫৩টি ঘরের মধ্যে ১৬টি ঘর, তালা উপজেলায় ৪২টি ঘরের মধ্যে ৩৬টি, আশাশুনি উপজেলায় ৬০টি ঘরের মধ্যে ৩৬টি, কলারোয়া উপজেলায় ২৬টি ঘরের মধ্যে ১১টি এবং দেবহাটা উপজেলায় ২৩টি ঘরের মধ্যে ১৭টি ঘর উদ্বোধন করা হচ্ছে। কালিগঞ্জ উপজেলায় ৫৫টি ও শ্যামনগর উপজেলায় ৩২টি ঘর থাকলেও প্রস্তুত না হওয়ায় এই দুই উপজেলায় কোন ঘর উদ্বোধন করা হচ্ছে না।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৪ লাখ ১০ হাজার টাকা ব্যয়ে একেকটি পাকা ঘর নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছেন। ২২ ফুট প্রস্থ আর ৩৩ ফুট দৈর্ঘ্যের প্রতিটি ঘরে ২টি বেড রুম, ১টি ড্রইং রুম, ১টি ডাইনিং রুম, ১টি কিচেন রুম ও ২টি বাথরুম সহ থাকছে সুপেয় পানির ব্যবস্থা।

সাতক্ষীরা সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো: ইয়ারুল হক বলেন, ঘর পেয়ে যেমন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারগুলো আনন্দে ভাসছে তেমনি আমারা ঘরগুলো নির্মাণ করতে পেরে গর্ববোধ করছি। জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিদের্শনায় অত্যন্ত স্বচ্ছতার সাথে ঘর গুলোর নির্মাণ কাজ শেষ করা হয়েছে।

খুলনা গেজেট/ এসজেড




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!