কয়েক দিন ধরেই উত্তাল বাংলাদেশ ক্রিকেট অঙ্গন। এশিয়া কাপে ভরাডুবির পর বিশ্বকাপ প্রস্তুতি, বিশ্বকাপ স্কোয়াড সব মিলিয়ে নানা আলোচনায় দেশের ক্রিকেট। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য তামিম ইকবালকে বিশ্বকাপ স্কোয়াডে না রাখা। তা নিয়ে চলছে পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা-সমালোচনা।
এরই মধ্যে তামিমকে ছাড়াই বিশ্বকাপ খেলতে ভারত গেছে বাংলাদেশ দল। বুধবারই বিশ্বকাপের দেশে পৌঁছায় টাইগাররা। বিশ্বকাপ মিশনে অংশ নিতে দেশ ছাড়ার আগে একটি টেলিভিশনকে নিজের নানা অভিমত ও ক্রিকেট বোর্ডের নানা ইস্যুতে কথা বলেন সাকিব।
তামিমের অধিনায়কত্ব ছাড়া নিয়ে সাকিব বলেন, বিশ্বের কোথাও দেখিনি অধিনায়ক এক ম্যাচ পর এসে ইমোশোনালি বলে ভাই আমি আর খেলব না। এটা আমি আমার লাইফে প্রথম দেখলাম। আমার ধারণা কোনো অধিনায়কের যদি দায়িত্ববোধ থাকত তাহলে এটা করতে পারত না।
এ সময় সাকিব বলেন, বাংলাদেশের উচিত ছিল ২০১৯ বিশ্বকাপের পরই ঠিক করা কে হবেন পরবর্তী অধিনায়ক। যেটা সাধারণত অন্যদেশগুলো করে থাকে।
শ্রীরামকে সাকিবের কথায় দলে নেয়া হয়েছে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এটা আমি নতুন শুনলাম। আমাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল বিশ্বকাপ কেন্দ্র করে তাকে দলে নেয়া ভালো হবে কিনা। আমি বলেছিলাম ভালো হবে। কেননা সে হিন্দিতে গ্রাউন্ডসম্যানদের সঙ্গে কথা বলতে পারবে। এতে আমাদের সুবিধা হবে। কিন্তু আমি জীবনেও তার নাম উল্লেখ করিনি।
এর আগে বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সাক্ষাতকারের প্রথম অংশে নিজের নেতৃত্ব ছাড়া ও অবসরের প্রসঙ্গে কথা বলেন সাকিব। তিনি বলেন, আমি যদি দেখি, আজকে এখন এই অবস্থায় বলছি, ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত ওয়ানডে খেলবে। ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলে টি-টোয়েন্টিকে বিদায় দেবো। টেস্টের অবসর শিগগিরই।
অবশ্য সাকিব এ সঙ্গে যুক্ত করেন, একেক ফরমেট একেক সময় ছাড়লেও আনুষ্ঠানিক অবসর ঘোষণা করবো ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর।
অধিনায়কত্ব নিয়ে সাকিব বলেন, ‘আমার অধিনায়কত্ব নেয়ার ইচ্ছা ছিল না! আমি কখনও ভাবিও নাই কেউ ওই সময় অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিবে! তারপর আমাকে এশিয়া কাপের দলে পাঠালো! আমি দেখলাম রিয়াদ ভাই দলে নেই! আমার কিছু বলার ও ছিল না! কারন পরের দিনে সবাই রওনা দিয়েছে! আমাকে সবাই বলতেছে আমি নাকী রিয়াদ ভাইকে নেইনি! এইসব হাস্যকর কথা! মানুষের সাইলকোলজি এমন কেনও! আমি কিছু জানি না! তাও আমার দোষ দেয়া হয়েছে!’
খুলনা েগেজেট/কেডি