খুলনা, বাংলাদেশ | ২৫ বৈশাখ, ১৪৩১ | ৮ মে, ২০২৪

Breaking News

  তেঁতুলিয়ার খয়খাটপাড়া সীমান্তে বিএসএফ’র গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত
  প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলায় ভোটগ্রহণ শুরু, চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত

বিয়ের সাত বছর পর একসঙ্গে ৬ সন্তান প্রসব, বাঁচলো না কেউই

গেজেট ডেস্ক

টাঙ্গাইলে একসঙ্গে ছয় সন্তান প্রসব করেছেন এক নারী। মির্জাপুর উপজেলার কুমুদিনী হাসপাতালে বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকালে এই সন্তানদের জন্ম দেন সুমনা আক্তার (২২)। তবে এই নবজাতকদের কোনোটিই জীবিত নেই বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। সুমনা পার্শ্ববর্তী সখীপুর উপজেলার কালমেঘা ছলঙ্গা গ্রামের সিঙ্গাপুর প্রবাসী ফরহাদ মিয়ার স্ত্রী।

পারিবারিক সূত্র জানায়, বিবাহিত জীবনের সাত বছর কোনো সন্তান ছিল না সুমনা- ফরহাদ দম্পতির। সুমনা সন্তান গর্ভে ধারণের জন্য বহু কাঠখড়ি পুড়িয়েছেন, ঘুরেছেন হাসপাতাল থেকে হাসপাতালে। লাখ লাখ টাকা খুইয়েছেন চিকিৎসকদের পেছনে। সেবন করেছেন বিভিন্ন ধরনের ওষুধ। অবশেষে সাত বছর পর তাঁর গর্ভে সন্তান আসে।

আল্ট্রাসনোগ্রাফি করলে গর্ভে চারটি সন্তানের উপস্থিতির বিষয়ে জানা যায়। বুধবার তাঁর প্রসব বেদনা শুরু হয়। গভীর রাতে বাড়িতেই একটি শিশুর জন্ম হয়। পরদিন সকালে কুমুদিনী হাসপাতালে নিলে সেখানে স্বাভাবিক প্রসবের মাধ্যমে পরপর আরও পাঁচটি সন্তান জন্ম হয়। এর মধ্যে চারটি ছেলে ও দুটি মেয়ে। কিন্তু জন্মের সঙ্গে সঙ্গে একেক করে সবগুলো নবজাতক মারা যায়। দেহগুলো বাড়িতে নিয়ে দাফন করেছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা।

কুমুদিনী হাসপাতালের গাইনী ওয়ার্ডের মেডিকেল অফিসার ডা. শতাব্দি সাহা জানান, সন্তান ধারনের জন্য ওষুধ খেলে সাধারণত দুই, তিন বা তার অধিক শিশু গর্ভে আসে। এসব ক্ষেত্রে সময়ের আগে প্রসব হয়ে যায় এবং নবজাতকের বেঁচে থাকার কোনো নিশ্চয়তা থাকে না। সুমনার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। গর্ভের পাঁচমাসে সন্তান প্রসব করেছেন তিনি। শিশুগুলোর বাঁচার মতো কোনো অবস্থাই ছিল না।

 

খুলনা গেজেট/এইচ




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!