যশোরের অভয়নগরে বিদ্যুতের খুঁটিতে নওয়াপাড়া ডিজিটাল টেলিফোন এক্সচেঞ্জের (টিএন্ডটি) তার টানাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে সোহাগ গাজী (৩৩) নামে এক ভ্যান চালকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার দুপুরে উপজেলার নওয়াপাড়া নূরবাগ রেলক্রসিং সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মৃত সোহাগ গাজী উপজেলার ধোপাদী গ্রামের মৃত আব্দুর রহমান গাজীর ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার দুপুরে নূরবাগ রেলক্রসিং সংলগ্ন পল্লী বিদ্যুতের খুঁটিতে টিএন্ডটির এক কর্মকর্তাসহ দুই কর্মচারী ও এক ভ্যান চালক তার টানাতে আসেন। এসময় ভ্যান চালককে বিদ্যুতের খুঁটিতে তার টানানোর জন্য উঠানো হয়। তার টানানোর সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ভ্যান চালক মাটিতে পড়ে যায়। পরে টিএন্ডটির সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার ডা. রাকিবুল ইসলাম জানান, দুপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টের সোহাগ গাজী নামে এক রোগীকে ভর্তি করা হয়। পরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। নিহতের পরিবার জানান, বিকালে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোহাগ মারা যায়।
এ ব্যাপারে নওয়াপাড়া ডিজিটাল টেলিফোন এক্সচেঞ্জের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলমের ০১৭৪৩-৫২৪৮০৪ নম্বরে বার বার যোগাযোগ করা হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
সরেজমিনে বুধবার বিকালে নওয়াপাড়া ডিজিটাল টেলিফোন এক্সচেঞ্জে গিয়ে দেখা যায়, এক্সচেঞ্জের প্রধান গেট ও অফিস তালাবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে। গেটের সামনে এলাকাবাসী বিক্ষোভ করছেন।
এসময় নিহতের ভাই মিলন হোসেন বলেন, ‘আমার ভাই একজন ভ্যান চালক ছিলেন। নওয়াপাড়া ডিজিটাল টেলিফোন এক্সচেঞ্জের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা আমার ভাইকে কাজে নিয়ে যায় এবং বিদ্যুতের খুঁটিতে উঠিয়ে হত্যা করে। আমি ওই কর্মকর্তাসহ কর্মচারীদের বিচার দাবি করছি।
অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম শামীম হাসান জানান, বিদ্যুৎস্পৃষ্টে এক ভ্যান চালকের মৃত্যুর খবর জানতে পেরেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
খুলনা গেজেট/কেএ