বাংলাদেশ জুট মিলস কর্পোরেশনের (বিজেএমসি) কাছে পাওনা অন্তত ২৬৫ কোটি টাকা পরিশোধ না করে রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকল বন্ধ করে দেয়ায় বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ী ও প্রান্তিকচাষীরা। এ অর্থ দ্রুত প্রাপ্তিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন তারা। আজ বুধবার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এসব কথা তুলে ধরেন বাংলাদেশ পাট ব্যবসায়ী সমিতি খুলনার আহবায়ক শামীম আহম্মেদ মোড়ল।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সারাদেশের ২৫টি রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকলের মধ্যে খুলনা অঞ্চলের মিলগুলোর নিকট পাওনা ১৩০ কোটি টাকা, ঢাকা অঞ্চলের মিলগুলোর নিকট ৬০ কোটি টাকা এবং চট্টগ্রাম অঞ্চলের মিলগুলোর নিকট ৭৫ কোটি টাকা রয়েছে।
বিজেএমসি’র পাট সরবরাহকারীরা এখন পুঁজিহারা এবং সর্বশান্ত হয়ে পথে বসেছে। যদি বিজেএমসিতে যে সকল উৎপাদিত পণ্য বর্তমানে মজুদ রয়েছে সেটা বিক্রি করে ব্যবসায়ীদের পাওনা পরিশোধ সম্ভব। কিন্তু মিল বন্ধ ঘোষণার প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, আগামী ২০২১-২২ অর্থ বছরের মধ্যে সকল দেনা-পাওনা পরিশোধ করা হবে। কিন্তু বর্তমানে ব্যবসায়ীরা পাওনাদারের চাপে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি। ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাট ব্যবসায়ীদের ব্যানারে স্বারকলিপি ও মানববন্ধন করেছি। কেসিসি মেয়র এবং জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে পাওনা টাকা প্রাপ্তির দাবিতে স্বারকলিপি দিয়েছি। অবিলম্বে পাওনা অর্থ না পেলে কঠোর কর্মসুচিতে যাওয়ার হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন ব্যবসায়ীরা।
সংবাদ সম্মলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সচিব গাজী শরিফুল ইসলাম ওহিদ, ব্যবসায়ী আবু জাফর, ইমাম হোসেন প্রমুখ।
খুলনা গেজেট/এআইএন/এনআইআর