খুলনা, বাংলাদেশ | ১৩ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

Breaking News

বাড়ি ফিরেছেন জেসমিনের ছেলে সৈকত

গেজেট ডেস্ক

নওগাঁয় র‌্যাবের হেফাজতে মারা যাওয়া সুলতানা জেসমিনের ছেলে শাহেদ হোসেন সৈকত অবশেষে বাড়ি ফিরেছেন।

শহরের খাস নওগাঁ মহল্লায় সৈকতের নানাবাড়ি এবং জনকল্যাণ মহল্লার ভাড়া বাড়ির কোথাও তার খোঁজ মিলছিল না। সোমবার সকাল ১০টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত নিখোঁজ থাকার পর রাত ১টার পর বাসায় ফেরেন সৈকত।

নিহত সুলতানা জেসমিনের মামা নওগাঁ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর নাজমুল হক মন্টু মঙ্গলবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সৈকত এই সময়ের মধ্যে কোথায় ছিলেন, কার সঙ্গে ছিলেন, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। মুখ খোলেননি সৈকত নিজেও।

সুলতানা জেসমিন নওগাঁ শহরের কালিতলা মহল্লার নওগাঁ পৌরসভা ও চন্ডিপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে অফিস সহকারী পদে চাকরি করতেন। শহরের জনকল্যাণ মহল্লার একটি ভাড়া বাসায় থেকে নিয়মিত অফিসে যাতায়াত করতেন তিনি।

গত ২২ মার্চ সকালে বাড়ি থেকে অফিসে যাওয়ার পথে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নওযোয়ান মাঠের সামনে পৌঁছালে তাকে আটক করে নিয়ে যান র‌্যাব-৫ জয়পুরহাট ক্যাম্পের সদস্যরা। আটকের প্রায় ২ ঘণ্টা পর দুপুরে জেসমিনকে অসুস্থ অবস্থায় নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে র‌্যাব।

সেখানে সন্ধ্যা পর্যন্ত চিকিৎসাধীন থাকার পর তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে রেফার্ড করেন চিকিৎসকরা। রামেকে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে জেসমিনের মৃত্যু হয়।

শনিবার রামেকে ময়নাতদন্ত শেষে বিকেলে নওগাঁ সরকারি গোরস্তানে মরদেহটি দ্রুত দাফন সম্পন্ন করা হয়। এরপরই র‌্যাবের বিরুদ্ধে জেসমিনকে হেফাজতে নিয়ে নির্যাতন করে মেরে ফেলার অভিযোগ তোলেন তার স্বজনরা।

রোববার এবং সোমবার বিষয়টি বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার শিরোনাম হয়। সুলতানা জেসমিনের মৃত্যুতে যেই মুহূর্তে তার পরিবারজুড়ে শোকের মাতম চলছে, ঠিক সেই সময়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া তার ছেলে শাহেদ হোসেন সৈকতকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে রাতের দিকে বাসায় ফেরেন তিনি।

নিহত সুলতানা জেসমিনের মামা নওগাঁ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর নাজমুল হক মন্টু বলেন, ‘রোববার রাতে মায়ের শোকে কাঁদতে কাঁদতে প্রতিবেশী এক আত্মীয়ের বাড়িতে সৈকত ঘুমিয়েছিল। সোমবার সকাল থেকে তাকে আর দেখিনি। পরে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। বিষয়টি নিয়ে আমরা চরম দুঃশ্চিন্তায় ছিলাম। ফোনও বন্ধ ছিল। রাত ১টার দিকে বাসায় ফেরে সৈকত। তাকে কোনো চাপ দিতে চাই না আমরা, তাই কই ছিল সেটা জানতে চাইনি।’

সরাসরি দেখা করতে রাজি না হওয়ায় হোয়াইটসঅ্যাপ এ কথা হলে সৈকত বলেন, ‘আমি বাসায় আছি, ঠিক আছি।’

তবে কোথায় ছিলেন, কেন নিখোঁজ ছিলেন, নাকি কোনো ধরনের চাপ আছে এসব প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমার কিছু বলার মতো মানসিকতা নেই।’

নওগাঁ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) ফয়সাল বিন আহসান বলেন, ‘যদি সৈকত বা তার পরিবার কোনো কারণে নিরাপত্তাহীনতায় থাকেন বা কোনো ধরনের আইনি সহায়তার প্রয়োজন হয় তবে, আমরা আইনি সহায়তা দিব। আমাদের লিখিতভাবে জানালে অবশ্যই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!