খুলনা, বাংলাদেশ | ১৩ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

Breaking News

  মানিকগঞ্জের গোলড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গাড়িচাপায় দুই সবজি বিক্রেতা নিহত
  গাজীপুরের শ্রীপুরের একটি বহুতল ভবনের ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার
  চুয়েটে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু
  বন্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনায় আজ জরুরী সিন্ডিকেট সভা আহ্বান

বানরের হামলায় ২৫০ কুকুর ছানার মৃত্যু!

গেজেট ডেস্ক

বানরের বাঁদরামি হয়তো অনেকে দেখেছেন। কিন্তু কখনও প্রতিশোধ নিতে দেখেছেন? বানরের প্রতিশোধ যে কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন ভারতের মহারাষ্ট্রের বীড় জেলার মজলগাঁও এলাকার একটি গ্রামের বাসিন্দারা। সেখানে এক বানরছানা একদল কুকুরের হাতে হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়ার পর এই দুই গোত্রের প্রাণীর মাঝে তুমুল দাঙ্গা ছড়িয়েছে।

মজলগাঁও গ্রামের বাসিন্দাদের দাবি, মাস খানেক আগে একটি বানরের বাচ্চাকে মেরে ফেলেছিল একদল কুকুর। তার পর থেকে এলাকা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বানরের একটি বিশাল দল। কুকুরছানা দেখলেই তুলে নিয়ে গিয়ে উঁচু জায়গা থেকে ফেলে মেরে ফেলছে। গত মাসে বাঁদরের হানায় অন্তত ২৫০ কুকুর ছানার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। বানর দলের দাপটে আতঙ্ক ছড়িয়েছে গ্রামবাসীদের মধ্যে।

আনন্দবাজার বলছে, মজলগাঁও থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে লাভুল গ্রাম। সেখানে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষের বসবাস। গ্রামবাসীদের দাবি, বর্তমানে ওই গ্রামে আর কোনও কুকুরছানাই বেঁচে নেই। গত মাসে অন্তত আড়াই শ’ কুকুরছানাকে মেরে ফেলেছে ‘ক্ষিপ্ত’ বানরের দল।

গ্রামবাসীরা বলছেন, বানর দলের প্রতিশোধের কারণে গ্রাম কুকুরছানা শূন্য হয়ে পড়েছে। তারা বলছেন, একটি বানরছানাকে এক দল কুকুর মেরে ফেলার পর থেকেই এই ঘটনার সূত্রপাত। তাদের দাবি, বানররা কুকুরছানা দেখলেই তুলে নিয়ে চলে যাচ্ছে। তারপর উঁচু জায়গা থেকে তাদের ছুড়ে ফেলে মারছে।

বানরের প্রতিশোধের হাত থেকে বাঁচতে গ্রামবাসীরা রাজ্যের বন দফতরের শরণাপন্ন হয়েছিলেন। বন দফতর একটি বানরও ধরতে পারেনি বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন। কিছু গ্রামবাসী বানরের হাত থেকে কুকুরছানা বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন। কুকুরছানা বাঁচাতে গিয়ে উঁচু থেকে পড়ে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

তাদের অভিযোগ, কুকুরছানা মেরেও ক্ষান্ত হয়নি বানরের দল। সুযোগ পেলে গ্রামের শিশুদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। এ ঘটনায় ওই এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন গ্রামের বাসিন্দারা।

খুলনা গেজেট/ এস আই




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!