জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ছন্দ ফিরে পেয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটিংলাইন আপ। টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারের পর পছন্দের ফরম্যাটে ফিরে বড় স্কোর গড়েছে সফরকারী দল। তামিম ইকবাল, লিটন দাস, মুশফিকুর ও এনামুল বিজয়ের ফিফটিতে নির্ধারিত ওভার শেষে ২ উইকেটে ৩০৩ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ।
শুক্রবার দুপুরে টস হেরে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। দুই টাইগার ওপেনার লিটন ও তামিম দেখেশুনে শুরু করেন।
হারারে স্পোর্টস ক্লাব উইকেটের বাউন্সে অভ্যস্ত হতে কিছুটা সময় নেন তারা। উদ্বোধনী উইকেটে সেঞ্চুরি জুটি গড়েন দুই ব্যাটার।
জিম্বাবুয়ের দুই সিমার রিচার্ড এনগারাভা ও ভিক্টর নিয়াউচি লাইন ও লেংথ ধরে রেখে বল করেন এবং লিটন ও তামিমকে বেশ কয়েকবার পরাস্ত করেন। তবে দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার ধীরে ধীরে নিজেদের প্রাধান্য বিস্তার করেন।
২৫.৪ ওভারে তামিম ও লিটন ১১৯ রান যোগ করেন উদ্বোধনী জুটিতে। তামিম ৮৮ বলে ৬২ রান করে আউট হন। ৫৭ রান করে প্রথম বাংলাদেশি ব্যাটার হিসেবে আট হাজার ওয়ানডে রান করেন তামিম।
সঙ্গীর বিদায়ের পর আগ্রাসী হয়ে ওঠেন লিটন। পূর্ণ করেন নিজের সপ্তম ওয়ানডে ফিফটি। এক ছক্কা ও ৯ চারে ৮১ রান করার পর পায়ের পেশিতে টান পড়ে তার। ৩৩.২ ওভারের সময় স্ট্রেচারে করে মাঠের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে।
লিটনের বিদায়ের পর মুশফিকুর রহিম ও এনামুল বিজয় মিলে দলের হাল ধরেন। বিজয় আক্রমণাত্মক খেলে দলের রান ২০০ ছাড়িয়ে নিয়ে যান।
আট বছর পর ওয়ানডে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন বিজয়। ২০১৪ সালে মিরপুরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বশেষ হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন তিনি। ৬২ বলে ৩ ছক্কায় ৭৩ রান করে আউট হন বিজয়।
শেষ ওভারে ক্যারিয়ারের ৪২ তম ফিফটি পূর্ণ করে ৫২ রানে অপরাজিত থাকেন। মাহমুদুল্লাহ করেন ২০*।