বেশ বড় রকমের বিরতির পর বাংলাদেশ জাতীয় দল ফিরছে মিরপুরের শের-ই বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের ৪র্থ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে টাইগাররা ফিরছে নিজেদের চিরচেনা এই মাঠে। টস জিতে এই ম্যাচে আগে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছে জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। তিন পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামছে বাংলাদেশ।
তবে মাঠে নামার আগেই শোকের ছাপ মিরপুরের মাঠে। গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে পতেঙ্গায় বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত পাইলট আসিম জাওয়াদকে স্মরণ করে এক মিনিটের নীরবতা পালন করছে বাংলাদেশ এবং জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড নিজেদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজ এবং এক্স হ্যান্ডেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
অফিসিয়াল সেই বার্তায় বলা হয়েছে, গতকাল চট্টগ্রামে বিমান বাহিনীর বিমান দুর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে নিহত স্কোয়াড্রন লিডার মোহাম্মদ আসিম জাওয়াদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে, মিরপুরের এসবিএনসিএসে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আজকের টি-টোয়েন্টি ম্যাচ শুরুর আগে বিসিবি এক মিনিট নীরবতা পালন করবে।
উল্লেখ্য, গতকাল বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুর পতেঙ্গার বানৌজা ঈসা খাঁ হাসপাতালে (নেভি হাসপাতাল) চিকিৎসাধীন অবস্থায় পাইলট আসিম জাওয়াদ মারা যান। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ইয়াক-১৩০ নামের একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান চট্টগ্রামের পতেঙ্গা জহুরুল হক বিমান ঘাঁটি থেকে উড্ডয়ন করে। এর কিছুক্ষণ পরই বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয় এবং বিমানটিতে আগুন ধরে যায়।
এর পরপরই পতেঙ্গা এলাকায় কর্ণফুলী নদীতে বিধ্বস্ত হওযার আগেই বিমানে থাকা বৈমানিক উইং কমান্ডার সোহান ও বৈমানিক স্কোয়াড্রন লিডার আসিম জাওয়াদ প্যারাস্যুট দিয়ে নদীতে নামলেও আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে পতেঙ্গা নেভি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিমানের উইং কমান্ডার সোহান জহুরুল হক ঘাঁটির মেডিকেল স্কোয়াড্রনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে বিমান বিধ্বস্তর ঘটনায় বৈমানিক আসিম জাওয়াদ পতেঙ্গার নেভি হাসপাতাল চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর ১২টার দিকে মারা যান।
শুক্রবার (১০ মে) বিকেল ৩টার দিকে মানিকগঞ্জ জেলা শহরের সেওতা কবরস্থানে নিহত পাইলট আসিম জাওয়াদকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে।
নিহত আসিম জাওয়াদের গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার দরগ্রাম ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের ডা. মোহাম্মদ আমানউল্লার ছেলে। তার মায়ের নাম নিলুফা খানম। নিহত পাইলট আসিম মৃত্যুকালে স্ত্রী, ছয় বছর বয়সী মেয়ে আইজা ও এক ছেলে সন্তান রেখে গেছেন।
খুলনা গেজেট/এএজে