খুলনা রেঞ্জের সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের কয়রা উপজেলার হায়াতখালী টহল ফাড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মোশারফ হোসেন, মোঃ কেরামত আলী শেখ ও কাঞ্চন কোরিকে ডিউটিরত অবস্থায় মারধর করে ভিডিও করে ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে নারী ক্লেলেংকারী দিয়ে স্বীকারোক্তি আদায় করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ২৬ জুন কয়রা থানায় ১৪ জনকে আসামি করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন হায়াতখালী টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, তেতুলতলার চর এলাকায় টহল ডিউটি করাকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কতিপয় অসাধু লোক সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ ধরার জন্য ঐ এলাকায় জমায়েত হয়েছে । উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে হায়াতখালী টহল ফাড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সংগীয় ফোর্সসহ ইং- ২৫ জুন রাত অনুমানিক ১২ টা ৪৫ ঘটিকার সময় তেঁতুলতলা ঢালীর মোড়ে পৌছানো মাত্র আসামীরা আমাদেরকে ঘিরে ফেলে এবং তাদের সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে উক্ত আসামীরা আমাদের পোষাক টেনে ছিড়ে ফেলে এবং জোর পূর্বক এক জনের বাড়িতে নিয়ে বিভিন্ন ভয় ভিতি দেখিয়ে আটকিয়ে রাখে এবং মারধর করার সময় তারা ভিডিও করে এবং আমাদেরকে দিয়ে ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে স্বীকারোক্তি আদায় করে নেয় যে, আমরা এক মহিলার ঘরে ঢুকে তাকে লাঞ্চিত করেছি ।
কয়রা থানার তদন্ত কর্মকর্তা মোঃ ইব্রাহিম আলী জানান, বন বিভাগের কর্মকর্তারা একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে তদন্ত পূর্বক আইনুগত ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।
খুলনা গেজেট/ আ হ আ