খুলনা, বাংলাদেশ | ২০ বৈশাখ, ১৪৩১ | ৩ মে, ২০২৪

Breaking News

  গাজীপুরে দুই ট্রেনের সংঘর্ষ, স্টেশন মস্টারসহ সাময়িক বরখাস্ত ৩
  এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে : শিক্ষা মন্ত্রণালয়
জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ

বঙ্গবন্ধু সারাবিশ্বের অবিসংবাদিত নেতা ছিলেন

নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মহানগর আওয়ামী লীগের আয়োজনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকাল ১০টায় দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের শ্রম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এমপি। সভায় সভাপতিত্ব করেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক।

এসময়ে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মিজানুর রহমান মিজান, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন মিন্টু, নুর ইসলাম বন্দ, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক শেখ মো. আনোয়ার হোসেন, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. অলোকা নন্দা দাস, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক শেখ ফারুক হাসান হিটলু, শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শেখ জাহাঙ্গীর আলম খান, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক মো. মফিদুল ইসলাম টুটুল, সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তসলিম আহমেদ আশা।

আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদর্শী ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাঙালি জাতি পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙ্গে আমাদের মহান স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছিলো। সদ্য স্বাধীন যুদ্ধবিধ্বস্থ দেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব যখন সমগ্র জাতিকে নিয়ে সোনার বাংলাদেশ গড়ার সংগ্রামে নিয়োজিত, তখনই স্বাধীনতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধী চক্র তাকে পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যসহ হত্যা করে। এই হত্যার মধ্য দিয়ে তারা বাঙালি জাতির ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও অগ্রযাত্রাকে স্তব্ধ করার অপপ্রয়াস চালায়। ঘাতকদের উদ্দেশ্যই ছিল অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের রাষ্ট্রকাঠামোকে ভেঙে আমাদের কষ্টার্জিত স্বাধীনতাকে ভূলুণ্ঠিত করা। এই জঘন্য হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত স্বাধীনতাবিরোধী চক্র ‘৭৫-এর ১৫ আগস্টের পর থেকেই হত্যা, কু ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করে। তারা ইনডেমনিটি অর্ডিনেন্স জারি করে। জাতির পিতার হত্যার বিচারের পথকে বন্ধ করে দেয়।

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু বাঙালির নেতা ছিলেন না, তিনি ছিলেন সারাবিশ্বের অবিসংবাদিত নেতা। ঘাতকচক্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে হত্যা করলেও তাঁর স্বপ্ন ও আদর্শের মৃত্যু ঘটাতে পারেনি। কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী এবং গণতন্ত্র বিরোধী চক্র এখনও নানাভাবে চক্রান্ত-ষডযন্ত্র করে যাচ্ছে। এই অপশক্তির যে কোনো অপতৎপরতা ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করে দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ও গণতন্ত্র রক্ষার জন্য সর্বদা প্রস্তুত থাকতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান নেতৃবৃন্দ। জাতির পিতা হারানোর শোককে শক্তিতে পরিণত করতে হবে। তাঁর আত্মত্যাগের মহিমা এবং দীর্ঘ সংগ্রামী জীবনাদর্শ আমাদের কর্মের মাধ্যমে প্রতিফলিত করে সকলে মিলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।

মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগের পরিচালনায় এসময়ে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা কাজী এনায়েত হোসেন, মল্লিক আবিদ হোসেন কবীর, বীর মুুক্তিযোদ্ধা শ্যামল সিংহ রায়, এ্যাড. রজব আলী সরদার, এ্যাড. আইয়ুব আলী শেখ, অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, জামাল উদ্দিন বাচ্চু, আবুল কালাম আজাদ কামাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যা. আলমগীর কবির, এ্যাড. খন্দকার মজিবর রহমান, প্যানেল মেয়র আলী আকবর টিপু, মো. শাহজাদা, কাউন্সিলর জেড এ মাহমুদ ডন, কামরুল ইসলাম বাবলু, বিরেন্দ্র নাথ ঘোষ, হাফেজ মো. শামীম, শেখ নুর মোহাম্মদ, অধ্যা. রুনু ইকবাল বিথার, মাহবুবুল আলম বাবলু মোল্লা, এ্যাড. মো. সাইফুল ইসলাম, সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ্বাস, কাউন্সিলর ফকির মো. সাইফুল ইসলাম, কাউন্সিলর শেখ হাফিজুর রহমান, কাউন্সিলর গাউসুল আযম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতালেব হোসেন, রনজিত কুমার ঘোষ, এ্যাড. এ কে এম শাহজাহান কচি, সুলতানা রহমান শিল্পী, পারভিন ইলিয়াছ, মো. শফিকুর রহমান পলাশ, এম এ নাসিম, অধ্যা. এ বি এম আদেল মুকুল, শেখ শাহজালাল হোসেন সুজন, এ্যাড. রাবেয়া ওয়ালী করবী, এস এম আসাদুজ্জামান রাসেল, আইরিন চৌধুরী নীপা, কাউন্সিলর মাহফুজুর রহমান লিটন, কাউন্সিলর ইমাম হাসান চৌধুরী ময়না, কাউন্সিলর মাহমুদা বেগম, কাউন্সিলর কণিকা সাহা, কাউন্সিলর রেকসোনা কালাম লিলি, মো. আমির হোসেন, নূরিনা রহমান বিউটি, নূর জাহান রুমি, শেখ আবিদ উল্লাহ, মঈনুল ইসলাম খান নাসির, শেখ আব্দুল আজিজ, আব্দুল হাই পলাশ, আতাউর রহমান শিকদার রাজু, মো. মোতালেব মিয়া, ওহিদুল ইসলাম পলাশ, মো. ফয়েজুল ইসলাম টিটো, মো. সেলিম মুন্সি, এস এম হাফিজুর রহমান, জেসমিন সুলতানা শম্পা, হাবিবুর রহমান দুলাল, আব্দুল কাদের শেখ, এ্যাড. আল আমিন, শওকত হোসেন, অভিজিত চক্রবর্তী দেবু, কবির পাঠান, ইয়াসিন আরাফাত, নাসরিন সুলতানা, নাসরিন ইসলাম তন্দ্রা, রুমা খাতুন, আঞ্জুমানা আরা, সাবিহা ইসলাম আঙ্গুর, মনোয়ারা বেগম, রেজওয়ানা প্রধান, রওশন আরা রিমা, ফেরদৌস আলম রিতা, মো. জিলহজ¦ হাওলাদার, মো. শহীদুল হাসান, শেখ হারুন মানু, আবু বক্কর সিদ্দিকী বাবুল, মো. শামছুজ্জোহা বাঙালী, মো. আশরাফ আলী হাওলাদার শিপন, মাসুদ হাসান সোহান, জহির আব্বাস, জব্বার আলী হীরা, ঝলক বিশ্বাস, মাহমুদুর রহমান রাজেস, সংকর কুন্ডু, বায়েজিদ সিনা, ওমর কামালসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

স্মরণ সভার শুরুতেই বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টে সকল শহীদের প্রতি সম্মান জানিয়ে দাড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। সভা শেষে মাগফেরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগে সকাল সাড়ে ৭টায় দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিত করন, কালো পতাকা উত্তোলণ, কালো ব্যাজ ধারণ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান, সকাল ৮টায় জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সামনে নবনির্মিত বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে শ্রদ্ধা নিবেদন, সকাল সাড়ে ৯টায় মহানগর কার্যালয় সহ সকল ইউনিট কার্যালয়ে কোরান খানি, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ প্রচার, বাদ জোহর প্রত্যেক মসজিদে দোয়া মাহফিল ও মন্দির, গীর্জা এবং প্যাগোডায় বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে কর্মহীন মানুষের মাঝে খাদ্য ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়। খালিশপুর, দৌলতপুর ও খানজাহান আলী থানা অনুরুপ কর্মসূচি পালন করেন।

খুলনা গেজেট/এমএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!