খুলনা, বাংলাদেশ | ৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ১৯ মে, ২০২৪

Breaking News

  ৭ ব্যক্তিকে জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী
  নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলা, নিহত ১৭
জাতীয় চেতনা সৃষ্টি ও মুক্তির জন্য

বঙ্গবন্ধুর মতো আর কেউ বাঙালিকে উজ্জীবিত করতে পারেননি : খুবি উপাচার্য

নিজস্ব প্রতিবেদক

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে সকাল ১১-০০ টায় শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ প্রশাসন ভবনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান বলেছেন, আজকের বাংলাদেশে বসে স্বাধীনতা কি, মুক্তিযুদ্ধ কি, অভাব কি, শোষণ কি, দুঃশাসন কি তা বোঝা যাবে না। যারা মুক্তিযুদ্ধ দেখেছেন বা তার আগে জন্মেছিলেন তারাই সেই দুঃসহ দিনের কথা স্মরণ করতে পারেন। স্বজন ও সম্পদ হারানোর বেদনা অনুভব করতে পারেন। আজ বিজয়ের ৪৯তম বার্ষিকী পালনকালে আমরা বাংলাদেশের এক অভ‚তপূর্ব উন্নয়ন ও জাগরণ দেখতে পাচ্ছি। প্রকৃত পক্ষে এই দেশকে নিয়ে এমনই স্বপ্ন দেখেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি আজ সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্য দিচ্ছিলেন।

তাজউদ্দীন আহমদ প্রশাসন ভবনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ঐ আলোচনা সভায় খুবি উপাচার্য আরও বলেন, বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র গঠনে জাতীয় চেতনা সৃষ্টি ও রাষ্ট্র পরিচালনায় সক্ষমতার নিরিখে মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধুর মতো কেউ আর বাঙালিকে উজ্জীবিত করতে পারেননি। পাকিস্তান নামক রাষ্ট্র সৃষ্টির পর থেকেই বঙ্গবন্ধু উপলব্ধি করেন এ দেশ আমাদের নয়। বাঙালির ভাষা, কৃষ্টি, সভ্যতা ও সংস্কৃতির ভিত্তিতেই পৃথক রাষ্ট্র দরকার। ধীরে ধীরে তাঁর মধ্যে সেই চেতনা বদ্ধমূল হয় এবং তাঁর মানস পটে বাঙালি বাংলা ভাষা ও বাংলাদেশের স্বপ্ন গভীরভাবে প্রভাব বিস্তার করে। প্রকৃতপক্ষে আমরা দেখতে পাই বঙ্গবন্ধুর মতো আর কেউ এই দেশের মানুষ ও মাটিকে এতো ভালো বাসেননি। অনেকেই হয়তো শিক্ষায়, জ্ঞানে বঙ্গবন্ধুর চেয়ে অগ্রগামী ছিলেন। কিন্তু একটি জাতির মুক্তির জন্য এতো ত্যাগ, এতো নির্যাতন, এতো দুর্ভোগ আর কেউ পোহাননি।

তিনি আরও বলেন মহান ভাষা আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের সৃষ্টি। ভাষা-আন্দোলন বিশেষ কোনো গোষ্ঠীকে কেন্দ্র করে হয়নি। বাংলা ভাষা, সংস্কৃতি, কৃষ্টি ও অসম্প্রদায়িক চেতনার বিকাশই ছিলো তার মূল ভাবনা। সেখান থেকেই ধীরে ধীরে স্বাধীকার, দুঃশাসন থেকে বাঙালির মুক্তি ও স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র গঠনের আন্দোলন-সংগ্রামের চেতনা জাগ্রত হয়। ঐতিহাসিক ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ এবং ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণার পর বাঙালির মুক্তির সংগ্রাম তাঁকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হয়। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লাখ বাঙালির আত্মদান ও লাখ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত এ বিজয়ের গৌরব কেউ ছিনিয়ে নিতে পারবে না।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা, আইন স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ ওয়ালিউল হাসানাত, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস, শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন, প্রফেসর ড. মোঃ সারওয়ার জাহান, প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুল জব্বার, প্রফেসর ড. কাজী সাইফুল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক ড. তুহিন রায়, মোঃ হাসান হাওলাদার, সহকারী অধ্যাপক মামুনুর রশীদ, পুণম চক্রবর্তী। এ সময় বিভিন্ন স্কুলের ডিন, ডিসিপ্লিন প্রধান, ছাত্রবিষয়ক পরিচালক, প্রভোস্ট, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী সরাসরি উপস্থিত ও অনলাইনে যুক্ত ছিলেন।সূত্র : খবর বিজ্ঞপ্তি।

খুলনা গেজেট/কেএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!