খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শিশুকাল থেকেই অসহায় দরিদ্র মানুষের জন্য রাজনীতি করেছেন। তিনি এদেশের মানুষকে প্রাণের চেয়েও বেশি ভালবাসতেন। যে কারণে তিনি সারাজীবন অত্যাচার নির্যাতন জেল জুলুম সহ্য করেছেন।
শুক্রবার (১৭ মার্চ) সন্ধ্যায় দলীয় কার্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
সিটি মেয়র বলেন, বাঙ্গালির অধিকার আদায়ে বঙ্গবন্ধু ছিলেন আপোষহীন। তাইতো তিনি ভাষা ও সাংস্কৃতিক অধিকার আদায়ে ভাষা আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছেন। বাঙ্গালির শিক্ষার অধিকার প্রতিষ্ঠায় ১৯৬২ সালে শিক্ষা আন্দোলন করেছেন। এসব আন্দোলন সফল হলেও নির্বাচনে বিজয়ী আওয়ামী লীগকে রাষ্ট্র ক্ষমতা দেয়া হয়নি। সে কারণেই বঙ্গবন্ধু বাঙ্গালীর সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক মুক্তির এবং অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র সৃষ্টির জন্য ৬ দফা দাবি পেশ করেন। এই দাবিকে রাষ্ট্রদ্রোহী বলে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করে ফাঁসির আদেশ দেয়া হয়। বাঙ্গালী আন্দোলনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে মুক্ত করে আনেন। বঙ্গবন্ধু ৭০ এর সাধারণ নির্বাচনে বিজয় লাভ করলেও ক্ষমতা দেয়া হয় না।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ দাবি আদায়ের লক্ষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। তার ডাকে সাড়া দিয়ে বাঙ্গালী জাতি মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে। জাতি পায় একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ। পরবর্তীতে ৭৫ সালে ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে সহপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে। জাতিকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেয়। ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসে পিতার স্বপ্ন পূরণে বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিণত করেন। পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে বাংলাদেশকে একটি স্মার্ট দেশ হিসেবে গড়তে তিনি নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে আওয়ামী লীগকে আবারও বিজয়ী করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
এসময়ে বক্তৃতা করেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা। দপ্তর সম্পাদক মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগের পরিচালনায় এসময়ে উপস্থিত ছিলেন বেগ লিয়াকত আলী, শ্যামল সিংহ রায়, নুর ইসলাম বন্দ, শহিদুল হক মিন্টু, জামাল উদ্দিন বাচ্চু, ফেরদৌস আলম চাঁন ফারাজী, অলোকা নন্দা দাস, হালিমা রহমান, মাকসুদ আলম খাজা, বিরেন্দ্র নাথ ঘোষ, মোজাম্মেল হক হাওলাদার, রুনু ইকবাল, তসলিম আহমেদ আশা, রেকসোনা কালাম লিলি, শেখ জাহিদুল ইসলাম, আব্দুল হাই পলাশ, শামীম মোশারফ, মুন্সি মো. সেলিম হোসেন, মো. জাকির হোসেন, মো. শিহাব উদ্দিন, মীর মো. লিটন, মো. মোতালেব মিয়া, একেএম শাহজাহান কচি, মো. সফিকুর রহমান পলাশ, এম এ নাসিম, এ বি এম আদেল মুকুল, শেখ শাহজালাল হোসেন সুজন, এস এম আসাদুজ্জামান রাসেল, শামীম আহমেদ পলাশসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
আলোচনা সভা শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কেক কাটা এবং বঙ্গবন্ধুসহ তাঁর পরিবার ও সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে সকাল ৭টায় দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান। সকাল সাড়ে ৭টায় দলীয় কার্যালয় থেকে র্যালি করে জেলা প্রশাসন কার্যালয় চত্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
শুক্রবার বিকাল ৪টায় দলীয় কার্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ হারুনুর রশীদ । সভা পরিচালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সুজিত অধিকারি।
বক্তৃতা করেন ও উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি এ্যাড. কাজী বাদশা মিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. এম এম মুজিবর রহমান, এ এফ এম মাকসুদুর রহমান, এ্যাড. রবীন্দ্রনাথ মন্ডল, অধ্যক্ষ দেলোয়ারা বেগম, বি এম এ ছালাম, মোস্তফা কামাল খোকন, এ্যাড. অধ্যাঃ নিমাই চন্দ্র রায়, রফিকুর রহমান রিপন, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মোঃ সরফুদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চু, মোঃ কামরুজ্জামান জামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আবু সালেহ, খালেদীন রশীদী সুকর্ণ, দপ্তর সম্পাদক এমএ রিয়াজ কচি, আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. নব কুমার চক্রবর্তী, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. তারিক হাসান মিন্টু, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক হালিমা ইসলাম, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক কাজী শামীম আহসান, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক শেখ রাশেদুল ইসলাম রাসেল, শ্রম সম্পাদক মোজাফফর মোল্যা, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোখলেসুর রহমান বাবলু, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক খায়রুল আলম, সদস্য অসিত বরণ বিশ্বাস, ফারহানা হালিম, মোসাম্মৎ সামসুন্নাহার, শিউলি সরোয়ার, শাহিনা আক্তার লিপি, ফারজানা নিশি, অমিয় অধিকারী, মোঃ আজগর বিশ্বাস তারা, মোঃ জামিল খান, মোল্যা আকরাম হোসেন, হোসনেআরা চম্পা, নাজনীন নাহার কনা, অধ্যাঃ আশরাফুজ্জামান বাবুল, মানিকুজ্জামান অশোক, শেখ মোঃ আবু হানিফ, আজিজুর রহমান রাসেল, এ্যাড. সেলিনা আক্তার পিয়া, মনোয়ারা খাতুন শিউলি, হাজি সাইফুল খান, আহমেদ ফিরোজ ইব্রাহিম তন্ময়, মোঃ পারভেজ হাওলাদার, মোঃ ইমরান হোসেন প্রমুখ।
আলোচনা সভা শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কেক কাটা হয় এবং বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারসহ সকল শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে সকাল ১০টায় দলীয় কার্যালয় থেকে র্যালী নিয়ে খুলনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়।
খুলনা মহানগর যুবলীগ দিনের শুরুতে শুক্রবার সকাল সাতটায় জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পনের মধ্য দিয়ে কর্মসুচীর শুরু হয়। সকাল সাড়ে সাতটায় খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের শোভাযাত্রায় অংশগ্রহন করে খুলনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে স্থাপিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে মাল্যদানের মাধ্যমে ¤্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরে বিকাল পাঁচ টায় দলীয় কার্যালয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের আলোচনা সভা ও দোয়ায় অংশগ্রহন করে নেতৃবৃন্দ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, খুলনা মহানগর আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি সফিকুর রহমান পলাশ, সাধারণ সম্পাদক শেখ শাজালাল হোসেন সুজন, এ্যাডঃ আল আমীন উকিল, কবীর পাঠান, কাউন্সিলর সুলতান মাহমুদ পিন্টু, মেহেদী হাসান রাসেল, আব্দুল্লাহ আল মামুন, সবুজ হাজরা, বিপুল মজুমদার, পলাশ মন্ডল, রফিকুল ইসলাম রফিক, এ্যাডঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন, জামিল আহমেদ সোহাগ, মাহামুদুর রহমান রিপন পলাশ সাহা দেবু, রাসেল সৈকত, নাজমুস সাকিব, এ্যাডঃ মেহেদী হাসান, আসাদুজ্জামান বাবু, জহির আব্বাস, রফিকুল ইসলাম রফিক, জনি বসু, মাহামুদুর রহমান রাজেস, এ্যাডঃ মেহেদী হাসান, মেহেদী হাসান প্রমুখ।
এছাড়াও শনিবার বিকাল চারটায় নগরীর ডাকবাংলা মোড়ে নগর যুবলীগের উদ্যোগে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। উপরোক্ত কর্মসুচীতে নগর, থানা ও ওয়ার্ড যুবলীগের নেতা কর্মীদের মিছিল সহকারে অংশগ্রহনের আহব্বান জানিয়েছে খুলনা মহানগর যুবলীগের সভাপতি সফিকুর রহমান পলাশ ও সাধারণ সম্পাদক শেখ শাহাজালাল হোসেন সুজন।
এ উপলক্ষে খুলনা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের উদ্যোগে রাত ১২:০১মিনিটে কেক কাটা, আতসবাজি উৎসব ও ফানুস উড়িয়ে দিবসটি উদযাপন করা হয়। এছাড়াও দিবসটি উপলক্ষে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শেখ মোঃ আবু হানিফ এর সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক এম এম আজিজুর রহমান রাসেল এর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আলোচক ছিলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক আবুল ফজল। অন্যানদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মোঃমিজানুর রহমান মিজান, মোঃ সরোয়ার হোসেন গহন, ফেরদাউসুর রহমান, এফ এম হাবিবুর রহমান, রুহুল কুদ্দুস চঞ্চল, মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, অরিন্দম গোলদার, মাহমুদুন্নবী মিল্টন, আবির মালিক, সুরজিত মন্ডল,মোঃ অহেদুজ্জামান, জাফর ইসলাম শান্ত, আঃ রব, মিথুন ঘোষ, শিশির বর, মোঃ আব্দুল মান্নান শেখ, শেখ মোঃ রাসেল, তানভীর রহমান অপু, রফিকুল ইসলাম রুবেল, অনুপম মন্ডল, চিন্ময় রায়, রাজু প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
মহানগর কৃষক লীগ শুক্রবার সকাল ৭টায় দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান এবং দলীয় কার্যালয় হতে র্যালি করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্ত্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে। সন্ধ্যায় দলীয় কার্যালয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের আলোচনা অংশগ্রহণ শেষে বঙ্গবন্ধুর ১০৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কেক কাটা হয়।
কেক কাটা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ তালুকদার আব্দুল খালেক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু ও জামাল উদ্দিন বাচ্চু। সভাপতিত্ব করেন মহানগর কৃষক লীগের আহ্বায়ক এ্যাড. এ কে এম শাহজাহান কচি। মহানগর কৃষক লীগের সদস্য সচিব অধ্যা. এ বি এম আদেল মুকুলের পরিচালনায় এসময়ে উপস্থিত ছিলেন কৃষক লীগ নেতা সেলিম মোল্লা, আবু নাঈম, শেখ শামছুজ্জোহা বাঙ্গালী, লুৎফর রহমান, মনিরুল ইসলাম গাজী, আবু হাসান, হাজী কামরুল ইসলাম, মোয়াজ্জেম হোসেন, কবিরুল আলম, হিরু, বুলবুল, সুমনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
খুলনা গেজেট/ এসজেড