চাপ তৈরি করছিলেন নিয়াউচি। প্রথম ৪ বলে দিয়েছিলেন ৩ রান। এরপর স্লটে পেয়ে তুলে মারতে গিয়ে ঠিকঠাক টাইমিং করতে পারেননি এনামুল। ৬২ বলে ৭৩ রান করে ফিরলেন এনামুল। তিনি ব্যাটিং করেছেন ১১৭.৭৪ স্ট্রাইক রেটে। ক্যারিয়ারে ৫০ পেরিয়েছেন, এমন ইনিংসগুলোতে এটিই সর্বোচ্চ স্ট্রাইক রেট। এর আগে কখনোই ৫০-পেরোনো ইনিংসে ১০০ বা এর ওপর স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করেননি তিনি। সর্বোচ্চ ছিল ৮২.৭৫, ২০১২ সালে খুলনায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৪৫ বল খেলে করেছিলেন ১২০ রান।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে সাবধানী শুরু করে বাংলাদেশ। দুই ওপেনার লিটন দাস ও তামিম ইকবাল মিলে দলকে উপহার দেন চমৎকার জুটি। এই জুটিতেই দলীয় ১০০ রান পার করে বাংলাদেশ। জমে ওঠা এই শতরানের জুটি অবশেষে ভাঙলেন সিকান্দার রাজা। তামিমকে আউট করে ১১৯ রানে এই জুটি ভাঙেন রাজা। ৮৮ বলে ৬২ রানে বিদায় নেন তামিম।
সাজঘরে ফেরার আগে হাফসেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন তামিম। ৭৯ বলে অর্ধশতকের ঘরে যান তামিম। এরপর লিটনের সঙ্গে জুটি বাঁধেন তিন বছর ওয়ানডে একাদশে ফেরা এনামুল হক বিজয়। এই জুটি গড়ার পথে ব্যক্তিগত অর্ধশতক স্পর্শ করেন লিটন দাস। শতরানের পথেও ছুটছিলেন তিনি। কিন্তু হঠাৎ পেশিতে টান নিয়ে ফেরেন তিনি। এনামুল ও মুশফিকের ব্যাটে লড়ছিলো বাংলাদেশ। এই জুটিতেই দলীয় রান আড়াইশ ছাড়িয়েছিলো বাংলাদেশ।
এই সফরে টি-টোয়েন্টি সিরিজটা মোটেই ভালো কাটেনি বাংলাদেশের। তরুণদের বাজিয়ে দেখতে টি-টোয়েন্টি সিরিজে কয়েক জনকে পরখ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। কিন্তু কেউই আস্থার দাম দিতে পারেননি। ফলাফল ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হার।
তবে টি-টোয়েন্টিতে ভরাডুবি হলেও ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়ের চেয়ে অনেক এগিয়ে বাংলাদেশ। পারফরম্যান্সের পাশাপাশি র্যাঙ্কিংয়েও দুই দলের ফারাক যোজন যোজন। আইসিসি ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ এখন সাতে, জিম্বাবুয়ে আছে পনেরোয়। তাই টি-টোয়েন্টির হতাশা ভুলে এই ফরম্যাট নিয়ে আশা করতেই পারে বাংলাদেশ।
এ ছাড়া দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ের শেষ কয়েক বছরের ইতিহাসও এগিয়ে বাংলাদেশ। ২০১৩ সালের পর থেকে জিম্বাবুয়ের কাছে কোনো ওয়ানডে ম্যাচেই হারেনি বাংলাদেশ। সবশেষ ১৯ ম্যাচেই জিতেছে বাংলাদেশ। তাই টি-টোয়েন্টির ব্যর্থতা পেছনে ফেলে ওয়ানডে সিরিজে ফেভারিটের তকমা নিয়েই মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ।