খুলনা, বাংলাদেশ | ১৩ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

Breaking News

  জামালপুরে ধান মাড়াই করতে গিয়ে তাঁতী লীগ নেতার মৃত্যু
  দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২
  মানিকগঞ্জের গোলড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গাড়িচাপায় দুই সবজি বিক্রেতা নিহত
  গাজীপুরের শ্রীপুরের একটি বহুতল ভবনের ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার
আপিল বিভাগেও জামিন বহাল

ফখরুল-আব্বাস মুক্তি পেতে পারেন আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন রোববার বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। ফলে তাঁদের মুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই। তাঁদের স্থায়ী জামিন প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল এক মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

জামিন বাতিল চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন নিষ্পত্তি করে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। বিএনপি নেতাদের আইনজীবীরা জানান, এখন জামিন আদেশের নথিপত্র কারাগারে পৌঁছলেই তাঁরা মুক্তি পাবেন।

আদেশের পর অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, বিএনপি নেতাদের জামিন আপিল বিভাগে বহাল রাখায় প্রমাণ হয়েছে- রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সরকার আদালতকে কখনও ব্যবহার করেনি। আইন অনুযায়ী সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে বিচারকাজ পরিচালনা করছেন আদালত।

মির্জা ফখরুল ও আব্বাসের আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল সমকালকে বলেন, জামিন আদেশের কপি এখনও পাওয়া যায়নি। সোমবার কপি পাওয়ার পর আদালতে জামিননামা দাখিল করা হবে। এরপর কারাগার থেকে মুক্তি পাবেন তাঁরা।

গত ৩ জানুয়ারি মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে ৬ মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি তাঁদের কেন স্থায়ী জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে সংশ্নিষ্টদের প্রতি রুল জারি করা হয়।

রাষ্ট্রপক্ষ সেই জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করলে ৪ জানুয়ারি চেম্বার আদালত বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। আর আপিল বিভাগে শুনানি শেষ না হওয়া পর্যন্ত আসামিপক্ষকে নিম্ন আদালতে জামিননামা দাখিল করতে নিষেধ করা হয়।

ঢাকায় গত ১০ ডিসেম্বর বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ ঘিরে উত্তেজনার মধ্যে গত ৭ ডিসেম্বর রাতে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে আটক করে ডিবি পুলিশ। পরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ‘পুলিশের ওপর হামলায়’ দলীয় নেতাকর্মীকে ‘উস্কানি’ দেওয়ার মামলায় এই দুই বিএনপি নেতাসহ ৪৫০ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

সংঘর্ষের ঘটনায় পল্টন, মতিঝিল, শাহজাহানপুর ও রমনা থানায় চারটি মামলা করে পুলিশ। এতে প্রায় ৩ হাজার নেতকর্মীকে আসামি করা হয়। তাঁদের মধ্যে ৭২৫ জনের নাম এজাহারে উল্লেখ করা হলেও তাতে মির্জা ফখরুল বা মির্জা আব্বাসের নাম ছিল না।

 




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!