খুলনা, বাংলাদেশ | ১৩ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

Breaking News

  গাজীপুরের শ্রীপুরের একটি বহুতল ভবনের ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার
  চুয়েটে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু
  বন্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনায় আজ জরুরী সিন্ডিকেট সভা আহ্বান

পড়া না পারায় কান ধরে রোদে দাঁড় করিয়ে শাস্তি!

গেজেট ডেস্ক

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম পৌরসভার সোহাগপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মুখস্থ পড়া দিতে না পারায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ৩০ জন শিক্ষার্থীকে রোদে ২৫ মিনিট কান ধরে দাঁড় করে রাখায় ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জান্নাতুন নাহারের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসনে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও অভিভাবক।

বৃহস্পতিবার (০১ সেপ্টেম্বর) অভিভাবকদের স্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে দেওয়া হয়। অভিযোগের অনুলিপি রংপুর বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা উপপরিচালক, জেলা প্রশাসক, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরেও প্রদান করে অভিভাবকেরা।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জান্নাতুন নাহার ৩০ আগস্ট ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদেরকে বিজ্ঞান বইয়ের দুই পৃষ্ঠা পড়া মুখস্থ করে পরদিন বিদ্যালয়ে আসতে বলেন। ৩১ আগস্ট শিক্ষার্থীরা মুখস্থ পড়া দিতে না পারলে উপস্থিত ৩৭ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩০ জন শিক্ষার্থীকে বিদ্যালয়ের শ্রেণি কক্ষের বাইরে প্রায় ২৫ মিনিট কান ধরে দাঁড় করে রাখেন। বিদ্যালয় ছুটির পর শিক্ষার্থীরা বাড়িতে গিয়ে এ ঘটনা বাবা-মা ও অভিভাবকদের জানিয়ে বিদ্যালয়ের আর পড়তে যাবে না বলে জানায়।এ ঘটনায় ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়।

অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষিকা জান্নাতুন নাহার বলেন, ‘একটা পড়া ৫ দিন থেকে বাচ্চাদেরকে পড়াচ্ছি। তারা পড়া দিতে পারছে না। তাই আমি কান ধরায়ে বারান্দায় ১০ মিনিট রেখেছি মাত্র’।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ারুল কবির বলেন, ‘বুধবার তো বেশি রোদ ছিলনা। বারান্দায় কিছু সময় শিক্ষার্থীদেরকে দাঁড় করে রেখেছিল। উনি (সহকারী শিক্ষিকা জান্নাতুন নাহার) ভুল স্বীকার করেছে।’

পাটগ্রাম উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (টিও) আবুল হোসেন লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন জানিয়ে বলেন,‘তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ এ ব্যাপারে লালমনিরহাট জেলা শিক্ষা অফিসার গোলাম নবি বলেন, শিক্ষার্থীদের কোন ভাবেই শাস্তি দেওয়া যাবে না। বিষয়টি আমি জেনেছি। তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!