প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরামর্শে অদম্য শিক্ষার্থী তামান্না আক্তার নূরা বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টে আবেদন করেছেন। আবেদনপত্রটি বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলামের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে গত ২৪ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করাসহ দুটি স্বপ্নের কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বরাবর চিঠি লিখেছিলেন তামান্না। সেই চিঠির প্রেক্ষিতে গত সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) পৃথক দুটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর থেকে কল দিয়ে তামান্নাকে অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর বোন শেখ রেহানা। সেই কথোপকথনে প্রধানমন্ত্রী তামান্নাকে তার স্বপ্ন পূরণে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টে আবেদন করার পরামর্শ দেন।
বুধবার সকাল ৯টার দিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষে ঝিকরগাছা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ডা. নাজিব হাসান তামান্নার এই আবেদন যশোর শহরের চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে গ্রহণ করেছেন।
এ বিষয়ে তামান্না আক্তার নূরা বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাকে বলেছিলেন তিনি সবসময় আমার পাশে আছেন। তার পরামর্শে আমি বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টে আবেদন করেছি। আমার স্বপ্ন পূরণে পাশে থাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আমার অশেষ কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা রইল।
যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান বলেন, তামান্নার স্বপ্ন পূরণে পাশে দাঁড়িয়েছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দুই কন্যা। আশা করি তামান্নার স্বপ্ন পূরণে আর কোনো বাধা থাকবে না।
যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বাঁকড়া আলীপুরের রওশন আলী ও খাদিজা পারভীন শিল্পী দম্পতির তিন সন্তানের মধ্যে বড় তামান্না আক্তার নূরা। তামান্না যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বাঁকড়া ডিগ্রি কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন। সম্প্রতি প্রকাশিত এইচএসসির ফলাফলে জিপিএ-৫ পেয়েছেন তিনি। এর আগে তামান্না ২০১৯ সালে যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বাঁকড়া জনাব আলী খান মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। একই ফল পেয়েছিলেন পিইসি ও জেএসসিতেও।
তামান্নার বাবা রওশন আলী ঝিকরগাছা উপজেলার ছোট পৌদাউলিয়া মহিলা দাখিল মাদরাসার (ননএমপিও) শিক্ষক। মা খাদিজা পারভীন গৃহিণী। ছোট বোন মুমতাহিনা রশ্মি ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। ভাই মুহিবুল্লা তাজ প্রথম শ্রেণিতে পড়ে।
গত ২৪ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করাসহ দুটি স্বপ্নের কথা জানিয়ে চিঠি লিখেছিলেন তামান্না। সেই চিঠির প্রেক্ষিতে ১৪ ফেব্রুয়ারি পৃথক দুটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর থেকে অডিও কল দিয়ে তামান্নাকে অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর বোন শেখ রেহেনা। একইসঙ্গে দুই বোন তামান্নার স্বপ্ন পূরণে যেকোনো সহযোগিতার আশ্বাস দেন। প্রধানমন্ত্রী তামান্নাকে তার স্বপ্ন পূরণে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টে আবেদন করার পরামর্শ দেন।
এছাড়াও গতকাল মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি তামান্নার সঙ্গে দীর্ঘ ২৪ মিনিট ৩০ সেকেন্ড কথা বলেন। শিক্ষামন্ত্রী তামান্নাকে ভার্সিটিতে মাইক্রোবায়োলোজি বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করার পরামর্শ দেন এবং খুব তাড়াতাড়ি তামান্নার সঙ্গে দেখা করতে যশোরে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
খুলনা গেজেট/ এস আই