যশোরে প্রতারণা মামলায় মোশারেফ হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে চার বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও অর্থদন্ডের আদেশ দিয়েছেন একটি আদালত। বৃহস্পতিবার(২৫ জানুয়ারি) সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া এ আদেশ দিয়েছেন।
সাজাপ্রাপ্ত মোশারেফ হোসেন নওয়াপাড়া বাজারের গুয়াখোলা গ্রামের বাসিন্দা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী সৈয়দ কবির হোসেন জনি।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালে আসামি মোশারেফ হোসেন অভয়নগরের প্রেমবাগ মৌজার এক খতিয়ানের দুই দাগে ৪৬ শতক জমির মধ্যে ১৮ দশমিক ৮৫ শতক জমি বিক্রি করার ঘোষণা দেন। ওই গ্রামের মাস্টার সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমান রানা এ জমি কেনার জন্য আসামি মোশারেফ হোসেনের সাথে কথা বলেন। ওই বছরের ২৩ জুন রানা মোশারেফ হোসেনের ১৮ দশমিক ৮৫ শতক জমি কেনার জন্য নগদ ৫ লাখ টাকা দিয়ে বায়না রেজিস্ট্রি করেন। এরপর ১১ সেপ্টেম্বর মোশারেফ হোসেন আরও ৯ লাখ টাকা গ্রহণ করে রানাকে আরও একটি বায়না রেজিস্ট্রি করে দেন। ২০১৫ সালের ৬ সেপ্টেম্বর আসামি মোশারেফ হোসেন ১৮ দশমিক ৮৫ শতক জমির মধ্যে সাড়ে ১০ শতক জমি কবলা রেজিস্ট্রি করে দেন। পরবর্তীতে মোশারেফ হোসেন বাকি জমি রেজিস্ট্রি করে না দিয়ে তাকে ঘোরাতে থাকেন। ২০১৮ সালের ১০ জুন মোশারেফ হোসেনকে ডেকে বাকি টাকা গ্রহণ করে জমি রেজিস্ট্রির অনুরোধ করেন মাস্টার রানা। এ কথায় মোশারেফ হোসেন ১৫ দিনের মধ্যে জমি রেজিস্ট্রি করে দেবেন বলে অঙ্গীকার করেন। কিন্তু নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হওয়ার পর ২৯ জুন আসামি মোশারেফ হোসেনকে জমি রেজিস্ট্রির কথা বললে তিনি অস্বীকার করেন। এ সময় তার কাছে টাকা ফেরত চাইলে তিনি দিতে অস্বীকার করেন। এ ঘটনায় আদালতে মামলা করা হয়।
আদালতে এ অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে চার বছরের সশ্রম কারাদন্ড, পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ের আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত মোশারেফ হোসেন বর্তমানে পলাতক রয়েছেন।
খুলনা গেজেট/ এএজে