ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয়, এরপর প্রেম। তারপর ঢাকায় নিয়ে জাল কাবিননামায় বিয়ে করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন। শেষে সবকিছুই অস্বীকার করেছেন নওগাঁর ধামুরহাট থানার আলমপুর গ্রামের মোমিনুর রহমানের ছেলে আবু রায়হান। ভুক্তভোগী চাঁচড়া এলাকার এক নারী এসব অভিযোগ এনে রোববার যশোর আদালতে মামলা করেছেন।
রায়হান বর্তমানে বাংলালিংক খুলনা অফিসে কর্মরত। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মঞ্জুরুল ইসলাম অভিযোগ তদন্ত করে সিআইডিকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, দু’বছর আগে আবু রায়হানের সাথে ফেসবুকে পরিচয় হয় ওই নারীর। একপর্যায়ে রায়হানের অনুরোধে তিনি তাকে মোবাইল ফোন নম্বর দেন। এরপর তারা দু’জন প্রায়ই মোবাইল ফোনে কথা বলতেন। প্রেম ভালোবাসা গভীর হওয়ার পর রায়হান তাকে বিয়ে করে দ্রুত সংসার করবেন জানিয়ে ঢাকায় যেতে বলেন।
গত ৪ মার্চ ওই নারী রায়হানের কথামতো ঢাকার গুলশানের পুলিশ প্লাজার বাংলালিংক অফিসে গিয়ে দেখা করেন। পরদিন তার এক বন্ধুর বাসায় নিয়ে একজন লোক ডেকে এনে নীল কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে তাদের রেজিস্ট্রি বিয়ে হয়েছে বলে জানান। তারপর থেকে তারা দু’জন স্বামী-স্ত্রীর মতো বসবাস করতে থাকেন। রায়হান তাকে কথা দেন ঈদের পর স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে তাকে বাড়িতে তুলে নেবেন। পরে ওই নারী যশোরে পিতার বাড়ি ফিরে আসেন। এরপরই রায়হান বিয়ে অস্বীকার করে তার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।